প্রণয়ার আম্মুকে নিয়ে বৈঠকে বসেছি...
তিন জনের ইফতারের জন্য কতগুলো ছোলা ভিজানো হবে এই বিষয়ে সাহরির পর মা মেয়েকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলছে... বৈঠকের শুরুতে বউ দায়িত্ব ভাগ করতে লাগলো...
প্রতিদিন সাহরি খাওয়ার পর ছোলা ভেজানোর দায়িত্ব দিলো আমাকে... সাথে হুশিয়ার করে দিলো, ছোলা নাকি যা ভেজায়, ফুলে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়...
ইফতারের সময় শরবত বানানোর দায়িত্বটাও আমার কাধে পড়েছে... এছাড়াও বাদবাকি দায়িত্ব যথারীতি পূর্বের সূচি অনুযায়ী চলবে... কি দায়িত্ব সেটা শুনতে চেয়ে লজ্জায় ফেলে দিয়েন না যেন...!
এদিকে প্রণয়াকে দেয়া হলো আমি ঠিকঠাক ছোলা ভিজাই কিনা সেটা মনিটরিং এর দায়িত্ব আর ইফতারের সময় শরবতে চিনি টেস্ট করার দায়িত্ব...
যেই কথা সেই কাজ! মেয়েকে নিয়ে চলে গেলাম কিচেনে ছোলা ভেজাতে... কিন্তু মুশকিল বাধলো, কতগুলো ভেজাবো...? বৈঠকে তো আসলটাই আলোচনা করা হয়নি!
প্রণয়াকে বললাম, তোমার আম্মুকে জিজ্ঞেস করো ছোলা কতগুলো ভেজাবো??
প্রণয়া দৌড়ে গিয়ে জেনে আবার দৌড়ে ফিরে আসলো... বললো, "আম্মু বলেছে মুঠো মেপে দুই মুঠ ভেজাতে..."
কিন্তু কার মুঠো মেপে ভেজাবো সেটা বুঝলাম না.. মেয়ের না আমার!! এটা নাকি আবার ফুলে দ্বিগুণও হয়ে যায় তাই রিস্ক নিলাম না... মেয়েকে বললাম, "নেও বাবা, তোমার হাতেই দুই মুঠ ছোলা নাও..."
আপাতত ছোলা ভিজিয়ে বাপ মেয়ে ঘুমের ভান ধরেছি.. ভয়ে আছি, কম হয়ে গেলো নাতো! নাকি আবার ফুলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে! যদি বেশি হয়ে যায়?
ছোলা ফুলুক ক্ষতি নাই, বউ ফুলে গেলে তো কেয়ামত থেকে কেয়ামত