: আমার বালিশ দাও, তোমার সাথে শোবো না
: কি হল তোমার আবার রেণু…!
: তুমি কিন্তু ইদানিং বড্ড বাড়াবাড়ি করছো আতিফ!
: আমার লক্ষি বউটা কি বলে এসব!! কি করলাম আমি?
: রাখো তোমার লক্ষি বউ প্রতিদিন মশারিটা কেন আমাকেই টানাতে হবে শুনি?? তুমি পারনা??
: প্লিজ রেণু… সারাদিন অফিস করে খুব টায়ার্ড লাগছে… তুমি টানিয়ে দাও প্লিজ
: ও!!! তুমিতো শুধু অফিস কর আর আমি কিছুই করিনা… ঘরের রান্নাবান্না, কাপড় ধোয়া সব তোমার অফিসের কলিগ টিনা-মীনা এসে করে দেয়… তাইনা??
: এখানে আবার টিনার কথা আসলো কত্থেকে!!
ওকে হানী, কাল থেকে আমি মশারি টানাবো.. প্রমিস
: থাক! থাক!… বিয়ের পরদিন থেকে সেই একটা কথাই শুনে আসছি…
আজ আমি মশারী টানাবোই না… হুঁহ!
…এই বলে রেণু আতিফের বিপরীত দিকে ঘুরে শুয়ে পড়লো।
দুজনের এই জগড়া নিত্যদিনের… রেণুর এই ছোটখাটো খুনসুটি আতিফের ভালোই লাগে কিন্তু কখনও কখনও তা বিরক্তির মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়…
.
. . . . খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গে আতিফের… চোখ মেলে দেখে মশারী টানানো; প্রতিদিনের মতই… রেণুর একটি হাত আতিফের বুকে..
.
নিষ্পাপ ফুলের কলির মত চোখ দুটো ঘুমিয়ে আছে যেন একটু পরেই সূর্যের আলোয় ফুলের মত ফুটে উঠবে… অপলক দৃৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আতিফ.. রেণুর চুলে হাত বুলাতে বুলাতে রাতের কথাগুলো ভাবছে আর হাসছে আতিফ..
বড্ড ভালোবাসে আতিফ রেণুকে.. যা হয়ত সে কখনই বুঝাতে পারবেনা
.
.
: আমার চুলে হাত দিয়ে বসে থাকলে হবে? যাও ফ্রেশ হয়ে এসো
: ইয়ে মানে... তুমি উঠলে কখন?
: যখন থেকে আমার চুলে হাত বুলাচ্ছিলে
: মশারি তুমি টানিয়েছো?
: জ্বি না!! আপনার টিনা-মীনা এসে টানিয়ে দিয়ে গেছে রাতে
: ধুর রেণু!, তুমিওনা!! তুমিই আমার টিন-মীনা-দুনিয়া সব, বুঝলা?
: হইছে হইছে, আর বলতে হবেনা..
: আমার এই লক্ষী বউকে না বললে কাকে বলবো?
: জ্বি... যত যাই বলে মন ভুলানোর ট্রাই করেন না কেন, কোন লাভ নেই, আজ কিন্তু আপনার টানানোর পালা.. বুঝলেন স্যার? মনে থাকে যেন!
...................................................................
ফেসবুকে আমিঃ http://www.facebook.com/zrshuvoo
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১০