১.এটি একটি সরিসা ক্ষেত!! কৃষক সরিসার সাথে মহরী সজ (মশলার) সমন্বিত চাষ করেছেন ক্ষেতে এমনি এমনি বতুয়ার শাক হয়েছে!!..
প্রথম পর্ব
দুর্দান্ত কৈশোরটা আমার গ্রামেই কেটেছে। কখনো খেলাধুলা করে, কখনোবা রঙিন প্রজাপতির পিছু ছুটে!!
রাস্তার পাশে ঝোপঝাড়ে বিভিন্ন প্রজাতীর আগাছা উদ্ভিদ দেখেছি, চোখ ধাধাঁনো রঙিন ফুলে বসেছে বাহারী রঙের প্রজাপতি!! কিশোর আমি প্রজাপতি ধরতে কতযে প্রজাপতির পিছু ছুটেছি তার ইয়ত্তা নেই।
খেলার মাঠে কারো হাতের ষ্পর্শ ছাড়াই গজিয়েছে বিভিন্ন প্রকারের আগাছা। কোনটা লতাজাতীয় কোনটা বা গুল্ম প্রজাতীর। সেইসব আগাছা এবং দেশী প্রজাতীর গাছ আজ অধীক জনসংখ্যার চাপে এবং শিল্প কারখানার কারনে দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে। এখনো যে কয়েকটি প্রজাতী দেখা যাচ্ছে হয়তো আগামীতে এগুলির মধ্য থেকে অনেক প্রজাতী বিলুপ্ত হয়ে যাবে!! তখন আফসোস করে একটি কথাই বলতে হবে “এইসব আগাছা উদ্ভিদও আমাদের প্রকৃতির অংশ হয়েছিল একসময়….
২.কলাবতী ফুল!! বাড়ির আনাচে কানাচে এমনিই হতো এই গাছ!! এখন খুজে পাওয়া দুষ্কর!!..
৩.চিরল পাতা নামে গ্রামে পরিচিত!! আসল নাম জানিনা..
৪.[sbঢেকি শাক (]ইলিশ পাতা গ্রাম্য নাম)!! .
ছবি তোলার প্রেক্ষাপটঃ
আমার গ্রামের বাড়ি সিরাজগন্ঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়। বেলকুচিতে তাঁত শিল্পাণ্ঞ্চাল এলাকা হওয়ায় এবং শিল্পের দ্রুতবিকাশ হওয়ায়। এইসব প্রজাতীর গাছ আর চোখে পড়েনা। রংপুরে থাকি শহরে জীবনে দেখা পাইনা সেই ছোট্ট বেলার দেখা দেশী প্রজাতীর আগাছাকে… গতকাল সিরাজগণ্ঞ্জের গ্রামের বাড়ি থেকে রংপুরে ফিরছিলাম। বাড়ি থেকে সকালেই বের হলাম তিনটা ১৫০ সিসি মোটরবাইক চেপে গ্রামের ৫ জন বন্ধু সহ।
আমাদের টার্গেট উল্লাপাড়া উপজেলার কিছু গ্রামে মিলবে এইসব উদ্ভিদ!! একটি মোটরবাইক ড্রাইভ করছিলাম আমি YAMAHA FZS বন্ধুদের সাথে চলন্ত বাইকে কথা বলতেছিলাম। ওরা আমাকে হাটিকুমরুল (সিরাজগণ্ঞ্জ রোডে বাসে তুলে দিতে এসেছিল প্লাস ঐতিহ্যবাহী সলপ ষ্টেশনের ঘোল খেতে। বেলকুচি থেকে কামারখন্দ উপজেলার উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে ছুটে চলছিলাম ছয়জন আরোহী। আমার চোখ রাস্তার দুপাশে খুজতেছিল সেইসব উদ্ভিদকে….চলতে চলতে উল্লাপাড়া উপজেলার নাম নাজান বেশ কিছু গ্রামে মোটরবাইক ব্রেক দিয়ে মোবাইলের ক্যমেরা দিয়ে তুললাম এইসব ছবিগুলি….
গাছগুলির সঠিক নাম জানিনা তাই আণ্ঞ্চলিক নামে ছবির ক্যপশন দিলাম। কেউ সঠিক নামটি বললে এডিট করে দিবো।
৫.অর্জুন বৃক্ষ। এটি একটি ও্ষধী গাছ। এই গাছের ছাল দিয়ে অনেক রোগের চিকিৎসা করা হয়।
৬.পলাশ গাছ। এখনো ফুল ধরেনি। গ্রামের লোকজন বলে ক্যদার গাছ!!
৭.
৮.হেলেন্ঞ্চা শাক!! আপনা আপনিই হয়
৯.নাম জানিনা...
১০.এটি কোন ডালিয়া গাছের চারা নয়!! এক প্রকার আগাছা তবে এর ফল দেখতে ছোট এবং টমেটোর মত!! এমন কি খেতে স্বাদও টমেটোর মত!!..
১১. স্হানীয়ভাবে গাছটিকে “আগড়া গাছ বলা হয়” এই গাছে এক প্রকার ছোট ছোট কাটা যুক্ত লম্বাটে ফল হয় যা অনেকটা চুলের ক্লিপের মত।
১২.
১৩.গড়ের গাছ
[sb"শ্বেতদ্রোণ"] এই সেই ভাট গাছ!! যাকে আমরা মধু গাছ বলে জানতাম। ছোট বেলায় সাদা ফুল তুলে চুষে ফুলের মধু খেতাম!!!...
১৪.কাটাখুড়ো গাছ। এই গাছ দুগ্ধবতী ছাগী খেলে তার তার দুধ বেশি হয়।
১৫. [sbএগুলোকে চায়না বাঁশ বলে]এটি কাশবন নয়!! তবে একপ্রকার লম্বাজাতের ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ
১৬. কয়েক প্রজাতীর উদ্ভিদ রয়েছে একটিতে হলুদ ফুলও ফটেছে!! সুন্দর না??. এই গাছের নাম নটে কাটা গাছ! .
১৭.
১৮. মহরী গাছ। এক প্রকার সজ (মসলা গাছ)
১৯. বতুয়া শাক
২০.
২১.”ডুমুর” (খোকশা) গাছ।
২২.
২৩.ভেরেন্ডা (ভেন্না) গাছ। আসমানী কবিতায় যে গাছের কথা হয়েছে....
ভেন্নার বীজ দিয়ে এক প্রকার তৈল হয়।
পোষ্ট উৎসর্গ করলাম- কান্ডারী অথর্ব ভাইকে।
তিনি প্রথম পর্বে ব্যপক উৎসাহ দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে আরেকটি পোষ্ট দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন।