রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার-যেমন, রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর তেমনি ধর্মের জন্যও ক্ষতিকর
ধর্মের নামে রাজনীতির অর্থ হচ্ছে আপনি ধর্মীয় নেতাও না আবার রাজনৈতিক নেতাও না।একমাত্র ভন্ডরা ধর্ম-কে তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করে।এসব দূর্ত নেতারা অশিক্ষিত জননগণের মধ্যে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করে।
বাংলাদেশে সামরিক জান্তারা ধর্মকে কুলশিত করেছে অনেক বেশি।তারা উর্দি খুলে সাফারি গায়ে দিয়েছে হেলমেট খুলে পড়েছে টুপি পায়জমা পাঞ্জাবিতে নিজেদের ঢেকে ফেলেছে; ধার্মিক হিসেবে তা তারা করেনি জনগণকে ধোকা দেয়ার জন্য করেছে।কেউ কোদাল হাতে খাল কেটেছে,কেউ করেছে রাষ্ট্রকে খাতনা অবশ্যই রাস্ট্রের খাতনার কোন দরকার ছিলনা। ইহাই নির্মম সত্য
সে পাকিস্তান পর্ব থেকে এখন পযন্ত ধর্মের নামে চলছে চরম পৈচাচিকতা নির্মমতা আর বর্বরতা।১৯৭১ এ ধর্মের দোহায় দিয়ে হত্য করা হল লাখ লাখ নরনারীকে।মুসলমান হয়েও লাখ লাখ মুসলমান হত্যা করে তারা নাকি ইসলাম রক্ষা করছে !!;
২০১৩ সালে ফটিকছড়িতে হেফাজতিরা মসজিদের মাইকে ইসলামের নামে মিথ্যা গুজব রটিয়ে
কিভাবে নারায়ে তাকবির-আল্লাহ আকবর ধ্বনি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে
হত্যা করছে তা আমরা তা ভুলিনি।নাস্তিক আখ্যা দিয়ে এক-মুসলমান হত্যা করছে আরেক মুসলমানকে আমরা সকলে বলি ইসলাম শান্তির ধর্ম কিন্তু ঐ হত্যা কান্ডের দৃশ্য অন্য কনো ধর্মের মানুষ দেখলে
সে কখনো বিশ্বাস করবেনা যে,ইসলাম শান্তির ধর্ম।আজ ইসলাম ধর্মের অবমানর জন্য কথিত কিছু নাস্তিকের
গ্রেপ্তারের আগে ফাসির দাবি করা হচ্ছে।নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে লেখক প্রকাশক সাংসষ্কৃতিককর্মী নাট্যকর্মী ব্লগার মুক্তমনাদের হত্যা করা হচ্ছে প্রকাশ্যে; তাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে।কিন্তু সে ৭১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তদন্ত্র করলে দেখা যাবে ইসলামি দল গুলাই ইসলামের সব-চেয়ে বেশি অবমাননা করেছে এবং ইসলাম ধর্মকে বেশি কুলুশিত করেছে...।তারা কলমের জবাব কলম দিয়ে দিতে পারছেনা তাই চাপাতিই তাদের একমাত্র ভরসা।
জমায়াত , হেফাজত, ইসলামি আইন বাংলাদেশ ,ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ , আল্লার দল , আন্সারুল্লাহ , ইত্যাদি ইত্যাদি এদের সাথে এখন যোগ দিয়েছে আওয়ামিওলামা লীগ নামক আরেক দল ভন্ড; তারা পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা আপত্তি জানায় হিন্দু বিচার পতি নিয়ে আপত্তি! কিন্তু ধান্দাবাজির জন্য তারা নিজেরা নিজেরা চুলচুলি করতে ভুলেনা।
আওয়ামিলীগে এসব সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী অবস্থান মেনে নেয়া যাইনা।
এরা পরাজিতদের প্রেতাত্না।
আর এসব প্রেতাত্নাদের ৭৫ পরবত্তিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হালাল করার দায়িত্ব নিয়েছে দুই-ভন্ড সেনা শাসক
জেনারেল জিয়া ও হুমু এরশাদ।
রুদ্র রক্তিম।