মুসলিমলীগের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের সাম্প্রদায়িক নীতি পরিহার করে
বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল।বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন ও
৭১এ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি নেতৃত্ব দেয়া এই দলটি জনগণের আশা-আখাঙ্খার কেন্দ্রবিন্দু ছিল।১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বাধীন দেশে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জনগণের আশা প্রত্যাশা চার গুন বেড়ে গিয়েছিল।৭৩ সালে নির্বাচন হল আওয়ামিলীগ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেল।এখন জনগণ তাদের আশার প্রতিফল দেখতে চাই।সদ্য স্বাধীন ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে সীমিত সম্পদ দিয়ে মুজিব সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন দেশকে গুছিয়ে নিতে। কিন্তু প্রশাসনিক ব্যার্থতা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রের কারনে মুজিব সরকার ব্যার্থ প্রমানিত হল।যদিও বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি ইমেজের কারণে তিনি অনেক দেশ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন।করেছেন অনেক উন্নয়ন মুলক কাজ।৭৪-এর দুর্ভিক্ষে রক্ষীবাহিনী বঙ্গবন্ধু সরকারের জনপ্রিয়তা শুন্যে নেমে এল।
সুযোগ নিল পাকিস্তান পন্থি সরকারী কর্মকর্তা যাদের বঙ্গবন্ধু বহাল তবিয়তে রেখেছিলেন।রাজাকার,আলবদর,জামাতি,বামাতি,অতিবাম,পাতিবাম লালপতাকা গণবাহিনী জনযুদ্ধ সাথে সরকারী দল আওয়ামীলীগের অতিগুন্ডা পাতিগুন্ডারা।
তারা জনক কে কোনঠাসা করা হল সরিয়ে দেয়া হল তাজ’কে। আওয়ামিলীগের নিজস্ব স্বকীয়তা নষ্ট হল। তারপর সেই ১৯৭৫ সালের ১৫-অগাস্ট ইতিহাসের জঘন্য ঘটনা ঘটে গেলে বাংলার ইতিহাসে। বাংলাদেশের গতিমোড় পাকিন্তানের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হল,মুক্তি যুদ্ধের মুলনীতি পদদলিত করা হল,আস্তে আস্তে স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করা শুরু করল ঘাতক দল জামায়াতে ইসলামী।
দেশে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি শুরু হল দেশ হল মিনি পাকিস্তান।
যাইহোক,তখন থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের যে স্বকীয়তা নষ্ট করে ধীরে ধীরে দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল তা এখনো বিদ্যমান এবং দ্বিগুন গতি নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।ধর্মের উচ্ছিষ্ট ভুগিরা ক্ষমতাসীনদের উপর জেঁকে বসল।
কেউ বিসমিল্লাহ,কেউ রাষ্ট্রধর্ম যোগ করে সহি নসিয়ৎনামা তৈরি করল।বর্তমানে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে প্রগতিশীল ও মুক্ত মনাদের জন্য এক আতংকের নাম।মুর্খ ভন্ডরা খুন করছে জ্ঞানীদের যেখানে রাষ্ট্র নির্বিকার।আলকায়েদা জামাত হেফাজত আনসার উল্লাহ ঝিকুরুল্লাহ আল্লার দল এগুলো নতুন আতংকের নাম।
আওয়ামি ওলামালীগ যারা আবার সরকারের সহযোগী সংগঠন!! তারা হিন্দু বিচারপতির বিরোধিতা করে তারা পহেলা বৈশাখে মঙ্গলশোভা যাত্রার বিরোধিতা করে। পহেলা বৈশাখ কে হিন্দুয়ানি সংষ্কৃতি বলে।
আওয়ামি ওলামা লীগ নামের এই আবাললীগ নিয়ে লিখে আর সময় নষ্ট করতে চাইনা শুধু বলতে চাই এরা জামাত হেফাজত আইএস এর প্রেতাত্না।সময় থাকতে আওয়ামীলীগকে এই বড় শিং-ওয়ালা এই ডামরা গরুদের
লাগাম টানতে হবে।আওয়ামীলীগে এদের কোন প্রয়োজন নেই এরা ভুইপুড় ভন্ড।
অবিলম্বে আওয়ামি ওলামা লীগ নামক এই গুন্ডাদের নিষিদ্ধ করা হোক।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের এই প্রত্যাশা।