somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মাদ্রাসা শিক্ষাঃ-

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান অর্থ বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়। জিডিপি কি? যদি এমন প্রশ্ন করা হয় তাহলে সোজা উত্তর হবে জিডিপি(Gross domestic product) হচ্ছে একটি দেশের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশের ভিতরে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মোট বাজারমূল্য।
জিডিপি(GDP)= ভোগ(Consumption)+ বিনিয়োগ (Investment)+সরকারী ব্যয় (Government expenditure) + রপ্তানি(Export) − আমদানি (Import)
জিডিপিতে অবদান রাখে কারা যদি এমন প্রশ্ন করা হয় তাহলে আমার বলতে পারি বাংলাদেশের শিল্প ও শ্রমিকের অবদান সবচেয়ে বেশি তারপর আছে কৃষি ও কৃষকের অবদান সেবা সেক্টরে আছে নার্স ও ডাক্তাদের অবদান এবং আছে শিক্ষকদের অবদান।
একটা দেশের অর্থবছরে জিডিপির যে হিসাব ক্যলকুলেশন করা হয় তাতে দেশের বেশির ভাগ মানুষের কিছু না কিছু অংশিদারিত্ব আছে জিডিপিতে; আছে দিন মজুরের অবদান আছে গার্মেট শ্রমিকের অবদান আছে কুলি মুচি,জেলে ,তাঁতি,কামার ,কুমার, মেথর, পান-দোকানদার ফেরিওয়ালা ,ফুল বিক্রেতা ,নরসুন্দর , রাস্তারপতিতা , ও বড় ছোট মাঝারি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে রাস্ট্রের ছোটকর্তা থেকে একদম বড়কর্তা পর্যন্ত, চুরি চামারি গোন্ডামী যাই করুক না কেন সামগ্রিক মানুষের পরিশ্রমের ফসলই একটি দেশের প্রবৃদ্ধি।

তাহলে জিডিপি তে অবদান নাই কার ?
কয়েক প্রকারের মানুষের জিডিপিতে অবদান নাই যেমন ফকির অক্ষম বিকলাঙ্গ বিকারগ্রস্থ
ও ছোট বাচ্ছা ও স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীদের জিডিপি অবদান না থাকলেও পরবর্তিতে তারাই জিডিপির মুল নিয়ামক।
আর কখনই যারা জিডিপিতে অবদান রাখতে পারেনা তারা কাওমি মাদ্রাসা থেকে পাস করা ছাত্র তাহলে দেশের ১৬ কুটি যদি জনসংখ্যা হয় তাহলে হিসাব করে দেখুন দেশের কত গুলো হাত নিস্ক্রিয়।ফকির আর বিকলাঙ্গদের কাজ যেমন ভিক্ষা প্রার্থনা তেমনি তাদের কাজও
শিতকালে ওয়াজের নাম করে কিছু ধান/চাল আর কোরবানির চামড়া হাতিয়ে নেয়া এভাবে একটা প্রজন্ম থেকে আরেটা প্রজন্ম গড়ে তোলছে তারা খোজা রাজবংশ তৈরি করছে একটা চেইন ভিক্ষুক গোস্টি।

শষ্যের চেয়ে টুপি বেশি ধর্মের আগাছা বেশি।'লাল সালু’র' মজিদের জন্মস্থানের বর্ণনা দিতে গিয়ে সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর এ কথা আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালেও মনে পড়তে পারে সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ বেঁচে থাকলে হয়ত শস্য ও টুপির এখনকার পরিসংখ্যান সঠিক বলতে পারতেন।

গালভরা বুলি কপচে মাদ্রাসা শিক্ষাকে যতই মহীয়ান করা হোক, এ শিক্ষা আসলে নিচুতলার মানুষদের সন্তানদের জন্য।বাংলাদেশের বড় বড় মুফতি মুওলানা আর ধর্মীয় নেতা মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে যতই হাকডাক দেননা কেন তারা তাদের সন্তারদের মাদ্রাসায় পড়াই'না তার বড় উদাহরন গোলাম আজম সাইদি আর মুজাহিদের সন্তানদের দিকে তাকালেই দেখা যায়। শিক্ষা ব্যবস্থার চরম বৈষম্যের নিদর্শন হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা, জনগণের এক বড় অংশের ধর্মীয় পশ্চাৎপদতাকে ব্যবহার করে এ বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে এদের ব্যবহার করেছে।এই পাল্টাপাল্টি ব্যবহারে আগাছার মতো বেড়েছে মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা। এখন এর সংখ্যা দেখে আমাদের চোখ কপালে উঠলেও এ বাস্তবতা এদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিরই সৃষ্টি-ও এ-আত্মসমালোচনা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই করতে হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষার নামে দেশের বিরাট একটা জনগুস্টি কে বিকলাঙ্গ করে রাখা হয়েছে তারা দেশের অর্থনিতিতে অবদান রাখতে পারছেনা বানানো হচ্ছে তাদের জংগি সঠিক শিক্ষার অভাবে হয়ত তারা এই-পথ বেচে নিচ্ছে।তার জন্য দায়ী আমাদের অশ্লীল আর দুষ্ট রাজনিতিবিদ আর ধর্মের লেবাসধারী ভন্ডরা। নেতারা মন্ত্রীরা ভন্ডরা ক্ষমতা চায় কিন্তু দক্ষ জনগোষ্টি চায়না,
আসছে অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় হবে ১ হাজার ৪৬৬ ডলার, যা বিগত বছরের তুলনায় ১৫০ ডলার বেশি হবে। এই অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলনে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বলা হচ্ছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক প্রাক্কলনে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়েছে, এই অর্থবছরে প্রথমবারের মতো জিডিপি ৭ শতাংশ হচ্ছে; এক্ষেত্রে যদি দেশের সক্ষম প্রতিটি জনগন জিডিপিতে অবদান রাখতে পারত তাহলে জিডিপি আজ ১০ বছর পর্যন্ত ৬ ঘরে ঘুরঘুর না করে অনেক আগেই ডাবল ডিজিটে পৌছে যেত।

---রুদ্র রক্তিম
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৩৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন পড়বেন, ফিকাহ জানবেন ও মানবেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০০



সূরাঃ ৯৬ আলাক, ১ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। পাঠ কর, তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
২।সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে
৩। পাঠ কর, তোমার রব মহামহিমাম্বিত
৪। যিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

×