১৭ বছরের ইমাম শেখের ভ্যানে চড়ে হাসি উজ্জল মুখে আমাদের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় ঘুরছেন। এই ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের নিউজপেপার-পত্রিকাগুলোর নায়ক এখন ইমাম শেখ। প্রধানমন্ত্রী তার ভ্যানে কিছু সময় অতিবাহিত করে কি একবারও তার কথা জিজ্ঞাস করেছেন, তার বয়স কত, কেন ভ্যান চালাই, লেখাপড়া করেছে কিনা, করলেও কোন প্রর্যন্ত করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি?? ইমাম শেখের ভ্যানে চড়ে যদি ৫০০ টাকার একটি কঁচকঁচা নোট গুজে দিয়ে একজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়, তাহলে দেশের ভিতর যারা শিশুদের বেতন ভিত্তিক কাজ করিয়ে নিচ্ছে তাদের অপরাধটি কোথায়???
এই সামান্য খবরটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি অতি কাছ থেকে একজন ভ্যানচালকের থেকে না নিতে পারে তাহলে সারা দেশের মানুষের খবর তিনি কিভাবে অনুধাবন করবেন??? আর ইমাম শেখও যদি তার মনের কথা এতো কাছাকাছি থেকেও না বলতে পারে তাহলে দেশের জনগন কিভাবে তাদের কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছাবেন??? আর প্রধানমন্ত্রী যদি শিশু বা কিশোর শ্রম কোনটি সেটাই উপলব্ধি না করতে পারেন তাহলে দেশের ভিতর সাধারণ মহাজন-জনগন কিভাবে সেটা নিরুপণ করবে???
এমন ইমাম শেখ বাংলাদেশের অলিতে গলিতে পড়ে আছে। তারা শিশু বা কিশোর শ্রমিক, তারা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত, তাদের স্বপ্ন দেখা মানা ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতি বছরে এমন ইমাম শেখ হাজার হাজার তৈরি হচ্ছে তাদের নিয়ে কেউ চিন্তা করে না। ১৮ বছর প্রর্যন্ত লেখাপড়া করার অবস্থা নিশ্চিত করে না। এরাও কোন দিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে পারে না, আর প্রধানমন্ত্রীরও এদের খবর পায় না......
শিশু আইন: (সংগ্রহ) বাংলাদেশের জাতীয় শিশুনীতিতে ১৮ বছরের কম ছেলেমেয়েদেরকে শিশু বলে অভিহিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ১৮ বছরের কম বয়সের সবাইকে শিশু হিসেবে গণ্য করে। শিশু অধিকার সনদ প্রত্যেক দেশের নিজস্ব আইন ও প্রথাকেও স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশে শিশুদের তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করার রীতি প্রচলিত: ৫ বছরের নিচে শৈশবকাল, ৬ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বাল্যকাল এবং ১১ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত কৈশোরকাল।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৩