আজ একটা অনলাইল পত্রিকায় চোখে পড়লো, কক্সবাজার উখিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাঈন উদ্দিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, 'অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য। যেহেতু যারা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে তারা অনুপ্রবেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে উৎসাহিত করছে।'
এমন কঠোর উদ্দ্যেগ নেওয়ার অর্থ রোহিঙ্গাদের কোন ভাবেই সাহায্য না করা এবং যারা সাহায্য করতে চাই তাদের কঠোর হাতে দমন করা। সাধারন নজরে, মানুষ বা প্রানী কষ্টে থাকলে আমাদের মানবিক দিক দিয়ে সে যেন ভাল থাকে তার জন্য চেষ্টা করবো এটাই স্বাভাবিক। রোহিঙ্গাদের ওপর যে বর্বরতা চলছে আমরা কম বেশী সবাই জানি। তারপরও কি আমাদের মানবিক দিক দিয়ে তাদের সাহায্য করা উচিত নয়???
কিছু দিন আগেও আমাদের দেশে ভারত থেকে প্রবেশ করা হাতির যে মুল্যয়ন করা হলো এবং মারা যাওয়ার পরও সর্বোচ্চ মুল্যয়ন করা হচ্ছে তার কঙ্কাল জাতীয় জাদুঘরে রেখে। একটা বনের পশু তার যথাযথ মূল্যয়ন করা হলেও মানুষ গুলো কি অপরাধ করলো। একটা পশুর থেকে মানুষের মূল্যয়ন কেন কম করে দেখা হবে।
আমিও বিশ্বাস করি রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে লাগামহীন প্রবেশ করতে দিলে আমাদের দেশের ভিতর নানা সমস্যা তৈরি হবে। তাই তাদের একটা ব্যবস্থা না হওয়া প্রর্যন্ত অনন্ত তাদের কিছু সীমাবদ্ধতার ভিতর রেখে জীবনটি বাঁচিয়ে রাখার মত সাহায্য তো আমরা করতে পারি।
আমরা কেন ভুলে যায় যে আমরা ও এক সময় তাদের মত শরনার্থী ছিলাম। আর বিশ্বের যে অবস্থা তাতে সামনে যে আবার আমাদের শারণার্থী হতে হবে না তার নিশ্চয়তা কি???
একসময় আমাদের দেশের মানুষও শরণার্থী ছিল সেখানে আমাদেরও মানুষ সাহায্য করেছিল । কাজেই রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করা কোন অন্যায় নয়। হাতির জন্য দরদ হয় রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য দরদ হয় না। ভাবতেই মনে হয় আজ আমাদের মানবতা আর মনুষ্যত্ব বলতে কিছু নেই......
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৭