আমরা ঘরের জন্য সচারাচার ফল ক্রয় করি না এমন খুব কম মানুষই আছে। ফল কেনার সময় আমাদের অজান্তে চুরি হয়ে যাচ্ছে আমার কেনা ফল এটা কি আপনি জানেন??? আসুন জানি ও সচেতন হই।
ব্যাপারটি আমি প্রথম লক্ষ করি ঢাকা থেকে আমার বাসা যশোরে ফেরার পর। সাধারনত দৌলতদিয়া-আরিচা ফেরী ঘাটে বিশেষ করে ফেরীর পর থেকে যাওয়ার পথে সেখান থেকে প্রায় ফল কেনা হয়। প্রথম দিন আমার বাবা লক্ষ করলেও আমাকে কিছু বলেননি। দ্বিতীয় দিন একই ঘটনা ঘটলে আমাকে বিস্তারিত বলেন। তখন আমি স্বচক্ষে দেখে হতবাক। এটার পর ঢাকা ফিরে একদিন হাতিরপুল বাজার থেকে ফল কিনে একই জোচ্চুরি লক্ষ করি। তখন বুঝতে পারলাম শুধু আরিচা ফেরী ঘাটে নয় সকল ঘাটে এটা সংক্রামক রোগের মত ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে আপনি যখন ওজন দিয়ে ফল ক্রয় করবেন তখন এটার ভুক্তভোগী হতে পারেন। যেমন: আপেল, আনার, আঙ্গুর ইত্যাদি। ফল বিক্রয়ের সময় সাধারনত ফল বিক্রেতারা কাগজের প্যাকেট ব্যবহার করে থাকে। আর সেখানেই তাদের যত জোচ্চুরি। লক্ষ করবেন কাগজের প্যাকেটের নিচে অর্থ্যাৎ কাগজের প্যাকেটের তলানিতে আর একটা কাগজের সাথে আঠা দিয়ে জোড়া দেওয়া হয়। অতএব একদম নিচে যে কাগজটি থাকে সেখানে পুরু করে অনেকগুলো কাগজ দিয়ে জোড়া দেওয়া হয় বা নিচের কাগজটি অনেক পুরু কাগজ দেওয়া হয় যার ওজন থাকে তুলনামুলক ভাবে অনেক বেশি। তাই প্যাকেট যত বেশি বড় হয় ওজনও অনেক বেশি হয়। মোটামুটি প্রতিটি প্যাকেট ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম হলে আর আপনার ফলের কেজি ১৫০ বা ২০০ টাকা হলে কত টাকা ঠক দেওয়া হল সেটা কি বুঝতে পারছেন???
গুরুত্বপূর্ন আর একটি ব্যাপার হল, আপনি এমনি এমনিতে প্যাকেটের ওজন বোঝাতে পারবেন না। কারণ ফল কেনার পূর্বে শুধু প্যাকেটটি আপনি হাতে পাবেন না, যখন পাবেন তখন ফল সহ। আর সেসময় ফলের ওজন বাদ দিয়ে শুধু প্যাকেটের ওজন আপনার বুঝার ক্ষমতা নেই। আবার ফল শেষ হওয়ার পরে শুধু প্যাকেটটি ফেলে না দিয়ে সেটি নিয়ে আপনি রিসার্চ করবেন না বা মাথা ঘামাবেন না। তাই এ সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ফল বিক্রতা।
তাই সকলের সাবধনাতার জন্য বলতে চাই, ফল ওজন দিয়ে কেনার পূর্বে ভাল করে প্যাকেটটি দেখে নিবেন। সবচেয়ে ভাল হয় পলিথিন ব্যাগে ওজন করে নিলে। আর এমন ফল বিক্রতা পেলে মোটামুটি তাকে সাবধান বা এমন কিছু করবেন যেন আপনি ছাড়াও অন্য লোকও প্রতারনার শিকার না হন।
সকলের সাবধানতা, সচেতনা, সুস্বাস্থ্য একান্ত কাম্য। ধন্যবাদ সকলকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫