আমার সিরিজ লেখা-
১ম পর্ব-
নাম তন্ময়। পুরা নাম আতিকুর রহমান তন্ময়।সদ্য এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। এখন ভার্সিটি নাকি মেডিকেল কোচিং করবে তা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তবে বাড়ি থেকে সবাই বলছে মেডিকেল কারণ তন্ময়ের আরো দুই ভাই মেডিকেলে পড়ে। আগে তন্ময়ের পরিবারের পরিচয় দেই। তন্ময়দের বাড়ি পাবনা। মফস্বল শহর থেকে ৫ কিঃমিঃ দূরে।তন্ময়ের বাবা একজন গ্রামের স্কুল শিক্ষক,মা গৃহিণী। তন্ময়রা তিন ভাই দুই বোন।তন্ময় সবার ছোট। ১ম বোন এর বিবাহ হয়েছে উনি একটি এমপিওভুক্ত কলেজের লেকচারার, ২য় বোন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে সদ্য মাস্টার্স পরীক্ষা দিল। তন্ময়ের বড় ভাই রংপুর মেডিকেলে,আর মেজো ভাই চট্টগ্রাম মেডিকেলে অধ্যয়নরত। সে সুবাধে তন্ময়কে মেডিকেলে পড়তে বলা হচ্ছে।কিন্তু তন্ময় মেডিকেলে পড়বে না তাই কোচিংও করার কোন প্রশ্নই আসে না বলে বলে দিয়েছে বাসায় । তম্ময় সবার ছোট এবং প্রিয় বলে তার কথাকে কেউ আগ্রাহ্য করলো না।তাই তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভার্সিটি কোচিং করার জন্যে ঢাকায় পাঠানো হল। তন্ময় ছেলে হিসেবে খুব সাধারণ। তন্ময়ের বড় ভাইয়ের এক বন্ধুর মারফতে একটা মেস ঠিক করে দেওয়া হল এবং একটা নামি কোচিংএ ভর্তি করা হল। মেসে আগেই উঠেছিল তন্ময়। কোচিংএ ভর্তির সময় ওর বড় ভাই আসছিল। তন্ময় যে মেসটা তে থাকতো তা একটা ফ্ল্যাট বাসা। আর তন্ময়ের রুমমেট যে ছিল সেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করার জন্যে এই মেসে উঠেছে। যাই হোক কোচিং করা আর বাসায় এসে পড়াশোনা নিয়মিত চলছে।
প্রতিদিন তার বোন, না হয় ভাই, না হয় বাবা মা ফোন করে খবর নিচ্ছে।
আর তন্ময়ের রুমমেটের সাথে তন্ময়ের খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।যেহেতু তারা সমবয়সী।কিন্তু ওর রুমমেট বাহিরে খুব আড্ডা দেয়। রাত করে বাসায় ফিরে।হঠাৎ রাহাতের মা খুব অসুস্থ হয়ে গেল। উনাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হল। ও রাহাতের পরিচয় তো দেওয়াই হল না। রাহাত তন্ময়ের রুমমেট।রাহাতের পুরো নাম রহমতউল্লাহ রাহাত।ওদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ।ওরা খুব ধনী।বাবা সরকারি চাকুরী করে।
চলবে.........