তেত্রিশের পুরুষ জাবেদ কখনোই ভাবেনি তার দ্বারা একটা খুন সংঘটিত হতে পারে। কিন্তু তাই হয়েছিল। তার হাতেই খুন হয়েছিল একটা রজনীগন্ধা। সাহিত্যে সিনেমায় যাদের রাতের রজনীগন্ধা অলংকার ব্যবহার করে সাহিত্যের জাত রক্ষা করা হয়। সাহিত্যের সতীত্ব নিয়ে যাদের মাথাব্যথা নেই তারা আবার সরাসরি বেশ্যা নামেই সম্বোধন করে থাকেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মী জাবেদ পরিবার আর সমাজের বিবিধ তির্যক বাক্য হজম করে এখনো অবিবাহিত। বিবাহ করার ক্ষেত্রে টাকা কড়ির জোগাড় সমস্যা না হলেও বিশেষ অঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যার কারনে বিবাহ করার হিম্মত সে এখনো জড়ো করতে পারেনি। কিন্তু যৌবনজ্বালা ভীষণ পীড়াদায়ক। জাগ্রত হলে দমনের বিকল্প নাই। পুরুষযন্ত্রের উত্থান সমস্যার কারনে সত্যিকার অর্থে নারীশরীর ভোগ করার সুযোগ তার হয়নি। কিন্তু নারীশরীর ভোগ করার সহজাত ইচ্ছা চাপা দেয়া যায়নি। সেই কলেজ জীবন শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে বেশ কয়েকবার দেহপসারিণীর সাথে শয্যা ভাগ করেছে সে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একদুইবার সামান্য উত্থান ঘটলেও সত্যিকারের সেক্স বলতেযা বোঝায় তার দেখা সে পায়নি। বেশ্যাগমনের সংখ্যা দশের অধিক হইলেও প্রতিটি অভিজ্ঞতাই মুখ থুবড়ে পরার পুনরাবৃত্তি। কিন্তু এই নিয়ে বেশ্যাদের তেমন অভিযোগ ছিল না। বরঞ্চ দুই একজন একটু খুশিই ছিল। টাকা পেলেই তাদের চলে। আবাসিক হোটেল কিংবা নবাবপুরের পুরনো পতিতালয় সবক্ষেত্রেই হেনস্থা হওয়ার একটা ভয় কাজ করেছে। এটাকেও উত্থান জটিলতা কিংবা দ্রুত পতনের কারন হতে পারে বলে মনে করে জাবেদ। স্বস্তিদায়ক হিসেবে এইবার সে একটা বৈধ পতিতালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দৌলতদিয়ার কথাই মনে আসে প্রথমে।
এক শুক্রবারে মানিকগঞ্জের বাসে চড়ে বসে সে। পাটুরিয়া ঘাট পেরিয়ে ওইপাড়ে দৌলতদিয়া পল্লী। এক হাজার টাকায় দুই বার সেক্স করবে এই শর্তে একটা মেয়ের সাথে কথা ফাইনাল করে সে।
সেখানেও সেই একই সমস্যা। উত্থানের ভীষণ অপারগতা দেখিয়ে যাচ্ছে পুরুষযন্ত্রটি। যন্ত্র নমিত থাকলেও তর সইছে না বেশ্যাটির। বারবার তাগাদা দিচ্ছে তাড়াতাড়ি কর্ম সম্পাদন করে তাকে রেহাই দেবার জন্য। এক হাতে অনবরত পুরুষযন্ত্রটি নেড়েই যাচ্ছে জাবেদ। না। উত্থানের লক্ষন নেই। এক পর্যায়ে এক রকম নেতিয়ে পড়া অবস্থায়ই তাকে কনডম পরিয়ে দেয় মেয়েটি। প্রবেশ করতে বলে। কিন্তু এই ঝিমিয়ে পড়া পুরুষযন্ত্র নিয়ে তার আর বেশিদূর যাওয়া হয়না। এক দুইবার প্রবেশের চেষ্টা করতেই চুড়ান্ত পতন। দ্বিতীয় পর্বও একইভাবে কয়েক সেকেন্ড নেতিয়ে পড়া অবস্থা নিয়েই সামান্য বলপ্রয়োগ এবং পতন।
নিজের এই ধ্বজভঙ্গ অবস্থা নিয়ে হা হুতাশ থাকলেও নিয়ন্ত্রন করে সে। কিন্তু যখন মেয়েটি নিজেকে সাফ করতে করতে জানায় তার মত এমন অচল পুরুষ আর দেখেনি সে। জানায় জাবেদের এই কমজোরি অবস্থা নাকি তাকে লজ্জাই দিয়েছে।কেমন পুরুষ সে!
বেশ্যার আবার লজ্জা! রক্ত টগবগ করে উঠে জাবেদের।টাকার জন্য দেহবিক্রি করিস টাকা পেয়েছিস আবার বুদ্ধিজীবীর মত জ্ঞান আওড়াস ক্যান?
নিজের অক্ষমতার গোপন ক্ষত তেতে উঠে যেন। ন্যাংটো অবস্থায়ই গলা চেপে ধরে মেয়েটির। নিজের অন্তর্গত অক্ষমতার শোধ নেওয়ার একটা উপলক্ষ পেয়ে যায় সে। বিছানায় ছুড়ে ফেলে চকিতেই বালিশ চাপা দিয়ে চেপে ধরে
মেয়েটির কন্ঠদেশ । উদাম বেশ্যার চোখ বড় হয়ে উঠে। সে হয়তো ভাবতেও পারেনি এই সামান্য তির্যক কথার জন্য তাকে এইরকম শাস্তি পেতে হবে এবং পুরুষত্বহীন একজনের কাছে খতম হতে হবে।
একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়ে বেশ্যাটির দেহ।পোষাক পড়ে বাইরে আসে জাবেদ। সকল বেশ্যাদের কামরা থেকেই খদ্দের বেরুচ্ছে।স্বাভাবিকভাবেই বের হয়ে এসে সদর গেইটের সামনের দোকান হতে একটা সিগারেট জ্বালায় সে। এখন জাবেদের প্রধান কাজ হচ্ছে নিকটস্থ থানার লোকেশন জানা। ইতোমধ্যে হয়তোবা জানাজানি হয়ে গিয়েছেও। থানাওয়ালারাই তাকে খুজছে হয়তো।
#