somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তিলোত্তমার কাব্য
নামে আর কিইবা আসা যায় তবুও বলছি ডাক নাম রওনক।রওনক অর্থ রোদ।আমি ১৯ বছরের এক তরুন যে কিনা তার ১২ বছরের কৈশরে ফীরে যেতে চায়।তাহলে হয়ত জীবনের অনেকগুলো ভুল করতাম না। ।ভালোবাসতে জানি না তাই ভালোবাসি না তবে একজনের স্বৃতি কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারি না।বার

কাঁচের চুড়ীগুলো ভেঙে যাচ্ছিলো

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন রাত দুইটা একচল্লিশ।দুঃস্বপ্ন
দেখে ঘুমটা ভেঙে গেছে।এবারের
দুঃস্বপ্নেও কাক দেখলো কাব্য।
দুইটা কালো কাক আর একটা হলুদ কাক।খুব
সাবধানে লেপের নীচ থেকে বেরুলাম।
বেশ পুরোনো লেপ।জাগায় জায়গায়
ছেড়া তাই এই বিশেষ
সাবধানতা অবলম্বন।চাদর বিহিন
তোষকের নিচে হাত দিয়ে দেখলাম
সিগারেটের
প্যকেটটা খালি হয়ে পরে আছে অথচ এখন
একটা খাওয়ার ইচ্ছে ছিলো।প্যন্টের
পকেটে হাত দিতেই মনে পড়ল
সেখানে কোনো টাকা নেই।
এই রুমে একটা বিশেষ পড়ার টেবিল
আছে কাব্যর বিশ্বাস
এটা একটা টাকা খোর পড়ার টেবিল।গত
বৈশাখেও কাব্যের ৫০০ টাকার
একটা কচকচে নোট খেয়ে ফেলেছে।
সেটা ভুলে সে এমাসের ১০০০ টাকার
আস্তা নোটটা ঐ টেবিলেই
রেখেছে ফলাফল পুর্বের পুনার্পণ।
কয়েকবার কোন
হুজুরকে নিয়ে এসে টেবিলটাকে ঝাড়ফুক
করানোর কথা ভেবেছে সে কিন্তু
কোনোবারই সে কাজটা সম্পন্ন
করতে পারেনি আর এর পেছনেও কাব্যর
সন্দেহ টেবিলটা।
এ মাসে রাজনিতি খুবই হিট বিষয়।
চা সিগারেট
খেতে হলে যে কোনো একটা চায়ের
দোকানে ঢুকে প্রথমে শিকার বাছাই
করতে হয় তারপর কথায় কথায় কোন দলের
সাপোর্টার সেটা বুঝে খুব হাই
প্রফাইলে তার প্রিয় নেত্রীর
প্রশংসা করতে হয়।কখনো ৫ মিনিটেই
হাতে চা আর দুই আঙ্গুলের
মাঝে একটা গল্ডলিপ উঠে যায়।
কখনো অবশ্য ৫ মিনিটের আর একটু
বেশী সময় লাগে।এভাবেই আজ মাসের
২৫ তারিখ চলে এসেছে।
প্রায় ভোর হয়ে এসেছে আজ কাব্যের কাক
দেখতে যাওয়ার দিন।কিন্তু
একেবারে খালি পকেটে কাক
দেখে আনন্দ পাওয়া যায় না।তাও নিয়োম
তো ভাঙ্গা যায়না।নিয়োম ভাঙ্গাটা খুব
খারাপ একবার ভাঙ্গলে বার বার
ভাঙ্গতে ইচ্ছে করে।খালি পকেটেই
হাটতে হাটতে সংসদ ভবনের
পেছনে চলে এলাম।ভোরের
আলো এখোনো ফোটা শুরু করেনি।পেছন
থেকে একটা কিশোরীসুলভ ডাক
শুনতে পেলাম,এই!শুন্ছেন।
আমি পেছনে ফীরে তাকালাম।
গলাটা কিশোরীর কিন্তু ২৩ ২৪ বছর
বয়সী একটা মেয়েকে দারিয়ে থাকতে দেখলাম।
চোখ দুটা অসম্ভব সুন্দর।পায়রার চোখ
টাইপের চোখ।চোখে তার হলুদ রঙ্গের
ফতুয়াটার ছায়া পরছে।সবার
চোখে ছায়া পরেনা যাদের মধ্য অদ্ভুত
কিছু থাকে তাদের চোখে ছায়া পরে।
আমার বাবার চোখেও ছায়া পরতো।
অনেকেই বলতো আমার
বাবা নাকি মানুষিক অসুস্থ ছিলেন।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কোনো এক
মাঝরাতে আমি মানুষিক অসুস্থ
হয়ে যাবো তারপর আর ভালো হবো না।
আমি সামনে এগিয়ে গেলাম
সে আমাকে জিগ্ঞেস করলো,সিগারেট
খাবেন?তারপর হাত ব্যাগ
থেকে প্যাকেট বের
করে আমাকে একটা দিলো আর
সে নিজে একটা ধরালো।তারপর
সে বললো চলুন না সামনের দিকটায়
গিয়ে বসি যেখানে বিকেলে বন্ধু
বান্ধবেরা আড্ডা দেয়
তাছারা ওখানে এক ভ্যানে খুব
ভালো চা বিক্রি করে।আপনি খেয়ছেন
কখনো?আমি তাকে বললাম আমি খাইনি।
আমি তার সাথে এখন সেখানটায়
বসে আছি।সে ক্লাস সিক্সে নতুন
ওঠা ছেলেদের মতো হাত
বাড়িয়ে দিয়ে বললো,আমি চৈতি।কিন্তু
সেই হাতে সেই অনুভুতি ছিলো না।
সে বলতে লাগলো আমি জানতাম
আপনি আসবেন।আপনি আমার বন্ধু।
সত্যি সত্যি বন্ধু তাদের
মতো না যে একটা মেয়ে তার বন্ধুদের
একজনের ভালোবাসার
ডাকে সারা দেয়নি বলে সে সবাই যখন
নদনে গেলো তাকে সেখন থেকে জোর
করে টেনে আরেকটা জায়গায়
নিয়ে গেলো।ওদের টানাটানিতে কাচের
চুরিগুলো ভেঙে যাচ্ছিলো।মেয়েটা
অসহায় দুপুর রোদে এদিক ওদিক
দেখছিলো তামাশা দেখতে থাকা লোকগুলোর
মধ্য থেকে কেউ এগিয়ে আসে কি না।
কিন্তু বাতাসের আটশে গন্ধে মেয়েটির
চিত্কার টিনের দেয়ালেই
প্রতিদ্ধন্নি হয়ে ফিরে আসছিলো।আর
সেই শব্দেই হাসছিলো সেই ছেলেটি আর
তার বন্ধু নামের বন্ধুরা।তারপর
থেকে আমার মনে হয় যেখানেই যাই
না কেনো সব যাগায় শুধু সেদিনের
তামাশা দেখা লোকগুলি।তারপর সেই
লজ্জা কাটাতে একটু শক্ত হলাম আর এতেই
আমার জিবনের সবকিছু বদলে গেলো।
এই বলে সে অদ্ভুত আচরন শুরু
করলো,ফোঁপানোর মতো জোরে স্বাস
নিতে লাগলো।আমার
দিকে তাকিয়ে ক্রুদ্ধ
দৃষ্টিতে বললো,আমি কোনো বন্দ্ধু চাই
না।এই বলে সে ব্যাগ
থেকে কয়েকটা টাকা আমারদিকে ছুরে মেরে উঠে গেলো।
সে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই
আমি টাকা তুলে পকেটে ভরে নিয়ে সুন্দর
একটা হাসি দিয়ে সে স্থান ত্যাগ
করলাম।
কারন নং ১এতে তার কষ্ট
কিছুটা হালকা হয়েছে এবং কারন নং ২
তার সাথে আমার আবার
দেখা হচ্ছে সে পর্যন্ত তার
টাকাটা দেখাশোনা করা।সকালের
ঝকঝকে রোদে কাকেদের কাক
সঙ্গীতে কানে তালা লেগে গেলো।একটু
পরেই কাকেরা সঙ্গীত বাদ দিয়ে ব্যস্ত
হয়ে যাবে এরই মধ্য আকাশের দিকে চোখ
পড়লো,মনে হলো দেখলাম দুটা কাক
একটা হলুদ কাকের পেছনে ছুটছে।
আচ্ছা,হলুদ কাকটা চৈতি না তো!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×