এলিটা, জানি তোমার আকাশে
বদলে গেছে মেঘেদের রঙ,
সমুদ্র হাসি ভুলে-
উদারনীতির বক্ষঃস্থলে
নিয়েছ সূর্যদেবের প্রেম, কিংশুকফুল।
আগুনের ফুলকি মেখে ঠোঁটের পেয়ালায়
শাশ্বত মেহগনি আভাষ!
আর ঠিক তার প্রখর রোদের নিচে
পুড়ে গেছে কত ফসলের মাঠ,
অনুরোধের কড়া নেড়ে ক্লান্ত পূজক,
রক্তজবার চোখে উবুউবু প্রেম।
বর্ষাতি বানের আশাহত নয়নার
শুষ্কপ্রায় শুষ্কজলা,
প্রশান্তির নীড় ভেঙেছে পাথুরিয়া পাথর।
অজস্র প্রচেষ্টা দুঃখ ফোটেনি
একটিও জলকণা, তোমারি অগ্নিবাণে।
পুড়িয়ে আমার ফসলের মাঠ, রাশি রাশি আহার,
শরীর ঝলসে চষা বনেদি জমিন,
আগুনের হলকায় কেটে চাবুকের দাঁত,
মুক্তবাজার নিলামে বিকিয়েছ আমার প্রেম,
বাহারি রুমাল, তিনটি গোলাপ, বিশুদ্ধ নিশ্বাস।
তোমার বেঈমানি দলিলে তাই বারবারিয়ান যুদ্ধ,
বন্য হুংকার, আগুনজ্বলানো সিঁদুরিয়া নীতি!
খলিফা হারুনের অবাধ্য তাতারির মত
তাই আমার হাসি,
ক্রীতদাসের হাসি!
উত্তর প্রতিটি সূর্যপথের, প্রতিটি চাবুকের,
প্রতিটি হেমলকের, প্রতিটি নির্মম পাথরের।
ভয় নেই এলি, হাসিটি অভিব্যক্তিহীন,
সূর্যতনয় গহীনশিখার মতই ঘন,
প্রাগৈতিহাসিক ক্রীতদাস হাসি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৮