আমি জানি,
মানবতার দুয়ার বন্ধ তোমাদের,
ভয়েরচিহ্ন তোমাদের প্রতিটি লোমকূপে।
শিরায় শিরায় এড্রেনালিন।
জংগল শাবকের লেলিহান লালাস্রাবে
ঝলসে গেছে তোমার কণ্ঠস্থ এপিগ্লোটিস,
বোবার থেকেও বোবা তোমরা!
পাথরের জগদ্দল পায়ের পাতায় বেধে
যে সভ্যতার পথে আলোর মশাল হাতে,
তাতে নিজেই তোমরা অন্ধ-খোঁড়া নও কি?
ইউনিভার্সিটি চত্বরে যে মানুষগুলো
রক্তের চাপাতি দেখে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছ
দুকদম ফেলনি, পিঠ দেখিয়েছ,
তোমরা পাপী,
তোমাদের পাপীয়সী হাতে
মানবতা রক্তাক্ত,
এরপর যারা বাকরূদ্ধ কণ্ঠে হাজারো বিলাপ
করছিলে, শতশত ক্যামেরা তাক করে
ত্রস্ত হরিনের মত দিগভ্রান্ত ছুটেছিলে,
তোমরা, হ্যা তোমরাই নির্মমভাবে
মাটির শত শত হাত নিচে,
গভীর থেকে আরো গভীরে, পুতে দিয়েছ,
তোমাদের বিবেক, শক্তি, সাহস,মানবতা।
আমি বিশ্বাস করি, যে মানবতাকে তোমরা
মোবাইল ক্যামেরায় ধরতে চেয়েছ,
কম্পনশীল থরথর হাতে,
সে এখন কলেজ পড়ুয়া উদ্ধারকারী
এক যুবকের রক্তমাখা সাহসী শার্টে,
এঁকে দিচ্ছে মানবতার বিজয় চুম্বন!
লজ্জা! সে মানবতা তোমাদের নয়।
তোমাদের সুযোগ ছিল,
বীরের মত এগিয়ে অসুরদলনের।
এভাবে আর কত?
নিজের পিঠ বাঁচিয়ে, উটপাখি জীবন।
তোমাদের একটি বন্ধন, মানবতার বন্ধন,
একটি শপথ, রুখে দেওয়ার শপথ।
তারুণ্যের বুকের অপরাজেয় বাংলার কসম,
একটি ঝড় ফেসবুক বা টুইটারে নয়,
ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ মাঠেঘাটে দেখতে চাই।
ভয়ে কুঁকড়ানো, কাপুরুষতা নয়,
চাই সাহসী দীপ্তিময় পদাতিক বন্ধন দেওয়াল।
তারুণ্য, তোমাদের দুয়ার খোল,
রুখে দাও নারী নির্যাতক পিচাশদের,
এই দেশমাতৃকার,
একটাই আদেশ, একটাই দাবি, একটাই অনুরোধ।
পুনশ্চ- মানবতার জয় হোক।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২