মেটে নাই কবি ,মেটেনি সুধা,তাই তো রোনাজারি,
সাহিত্য সুধার অধর পেয়ালায় চেয়ে আমি অনাহারী!
অমর অব্যয় কাব্যরস গাথা, সঞ্চিত মা আমার,
অনুরণিত স্নায়ুর ধারায়, গেঁথে দিছে কবিতার!
গদ্য, পদ্য, গল্প, রম্য, বাহারিয়া কত গান,
মনের আকাশে শত ফুল ফুটে, পাখির কলতান।
বসুধা বক্ষে কত কবি গান, মানব মনের গাথা,
বাংলার কবি হাল ধরিল, মাটির কাব্য পাতা।
"কা আ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল,
চঞ্চল চীএ পইঠা কাল"
সূচনাকালে লুইপা গাইল, মহাকালের গান,
দেহ তাহার মাটির তলে, অমর কবিতা প্রাণ।
এরপর দেখি বঙ্গবানী, কবি হাকিম হুশিয়ারী,
মায়ের টানে রক্ত আখরে, চরমপত্র জারি।
সাহিত্য দিগন্তে এল এক রবি, ত্রিশালের নজরুল,
প্রেয়সী বাগানে সঞ্চিল মধু, নাচিল গোলাবি গুল।
বিদ্যাসাগরে ভাসিল গদ্য, মাইকেলে মহাকাব্য,
পঞ্চপাণ্ডব গম্ভীরবেদী , শামসুরে একলব্য।
"পরানের গহীন ভিতর","স্বাধীনতা তুমি","ছাড়পত্র",
"মানচিত্র" রচে এই মনন, দাগল দেয়াল ছত্র!
উথালপাতাল সিন্ধু বেয়ে কবিরা বঙ্গভূমে,
কবিতা রচিল মনের তৃষ্ণায় মায়ের চরণ-চুমে!
জসীমদ্দিনের রাখালিয়া মন, জীবনানন্দের কথা,
আসমানীদের কত গান-সুর, প্রেয়সী বনলতা।
এরপর এল উত্তরাধিকার, অভিবাদন প্রিয়তমা,
মনের মুকুরে প্রেমাংশু হাসি, সিন্দুকে রাখি জমা।
কত কবি এল কত কবি গেল বিশ্ববাসী জানে,
বঙ্গদেশের মাটি মাখা কবি অমূল্য সবে মানে।
ফুলেল পাপড়ি মেলেছে আজ, গুলাবি বাংলা ফুল,
বিশ্বসাহিত্য নোবেল দিতে, করেনি কো কোন ভুল।
আমার দেশের মাটির গন্ধে, মিশে আছে যত গান,
নোবেল তাহার মুল্য তো নয়, রেখেছে স্ব-সম্মান।
চেনা জানা এই পথের বাঁকে,শত ফুলকলি ফোটে,
মন ভ্রমরের গুঞ্জন শুনি, মন ভূগোলের তটে।
কত গান গেয়ে কত যে পাখি, মেটাল মনের ক্ষুধা,
বাংলা ভাষার অমরকোষে, আহা কি রুপ সুধা।
গগন মাঝে নীল মেঘ ভাসে, বাংলা মায়ের হাসি,
রক্তকড়ির বর্নমালা গান, বড়ই ভালবাসি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০০