চল যাই প্রান্তিক হ্রদের পাড়ে,
সেখানে হলদে হলুদ বনে,
বাহারিয়া ফিঙে পাখির সনে
গাইব সবুজের গান ঐকতানে।
শুধু তাই নয়,
আবক্ষ ওই সবুজ পাহাড়ের খোলা ময়দানে
স্বচ্ছ জলের দামে কিনে দেব সহস্র জোছনা,
সাজিয়ে দেব প্রতিটি রাত তারায় তারায়।
এই লেকের নিবিড়ে
নক্ষত্রের রহস্যঘন বনের মত
তোমার চুলের ভাজে গুঁজে দেব
পুষ্পিত হলুদ ভোরের সূর্য!
গোধূলিবেলায় ঝরে পরা
হলুদের ফুলকির সাথে ঝরে যাব
তোমার আঙিনায় টুপটাপ টুপটাপ।
ভোরের শিশিরজলের মুক্তো কনার মত
নির্লপ্ত শুভ্রতার চাকচিক্যময় তোমার হাসি,
জমিয়েছ যত বুকে অভিমানী উর্মি,
আছড়ে ফেল প্রান্তিক জলে।
সহস্র বছর পর আবারো
বসন্তের রাধাচূড়ার
মত জেগে
উঠ
পেখম মেলে
আগুনের ফুলকি সাজে
আঁকাবাকা পাহাড়িয়া ঢালে।
এই তো চাই,
মুক্ত জীবন, খোলা হাওয়া,
বিশুদ্ধ বায়ুগতি, চকচকে দিঘীজল,
আর, নান্দনিক নীড়ে দুটি চুড়ুই ছানা ।
সবুজের সমারোহে আবৃত তুমি আমি,
স্বপ্ন নয়, অনুভব কর
দুটি হাতে কলাপাতার মোম,
পায়ের পাতায় নরম বালুকনা,
বুক অবধি শীতল পানির ছোঁয়া,
নাসারন্ধ্রে কাচা মাটির ঘ্রান,
চোখে জল এসে যায়,
ফুসফুসে হাহাকার বাণ ।
এই ইট কাঠ পাথরের
ধূসরতা চিড়ে যে পথ সবুজের দিকে,
সব ভুলে চল যাই চাষাভূষাদের
সেই প্রান্তিক হ্রদে!
সেখানে গেলেই
কবিতার মালায় সাজিয়ে দিব
তোমার মনের গলির প্রতিটি তোরণ,
কালশে সবুজ পাতার বনেদিপনায়
মাতাব প্রতিটি মহল।
এই সবুজের নক্ষত্রপথে
যে অবয়ব নেত্র তুমি
রয়েছ রবে ছায়াপথে
কবির প্রান্তিক হ্রদ চুমি।
উৎসর্গঃ সবুজের মাঠকে, দিঘীর জলকে যাদের কাছে আমি অনেক ঋণী।
ছবিঃ গুগল
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩