ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে বিএনপির মিছিলে গুলি না করায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। প্রত্যাহার করা পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে তাদের একজন মতিঝিল জোনের এসি বলে জানা গেছে। নতুনবার্তা
দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ করে হরতালের সমর্থনে নয়াপল্টনে বিএনপির পল্টন থানা শাখার ব্যানারে ৮-১০ জনের একটি মিছিল বের হয়। এসময় উপ¯ি’তি পুলিশ সদস্যদের ‘গুলি গুলি’ বলে সামনে আগানোর নির্দেশ দেন পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান। পুলিশ সদস্যরা অ্যাকশনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই মিছিলকারীরা আশপাশে অলি-গলি দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
গুলি না করা এবং সেখান থেকে কাউকে আটক করতে না পারায় নিন্মপদ¯’ দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন মেহেদী হাসান। জিজ্ঞেস করেন- তারা কে কোন ব্যাচ থেকে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানান। এসময় তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে থাকতে হলে আমার মতো করে কাজ করতে হবে।’
তার কিছুক্ষণ পর দুই পুলিশ কর্মকর্তা একটি মাইক্রো করে নয়াপল্টনে দায়িত্বপালন থেকে চলে যান।
দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মেহেদী হাসান এক সিনিয়র সাংবাদিককে বলেন, ‘ভাই, প্লিজ আপনারা এমন সাংবাদিকতা করবেন না। এসব আমাদের ইনটারনাল ব্যাপার। এগুলো আপনারা দেখলেও না দেখার মতো করে অন্য দিকে চলে যাবেন।’
জবাবে ওই সাংবাদিক রাগান্বিত হয়ে বলেন, ‘আপনারা প্রকাশ্যে আপনাদের কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করতে পারবেন, আর আমরা দেখার পর সেসব জিজ্ঞেসও করতে পারব না?’
পরে মেহেদী ওই সাংবাদিককে শান্ত হওয়ার এবং ওই বিষয়টি কিছু না লিখার অনুরোধ জানান।
দৈনিক আমাদের সময়