২১. * জলপরী বলেছেন ২১ আগস্টের হামলায় সেনাবাহিনী ছিল. এই তথ্য প্রথম শুনলাম! আগেতো জজমিয়া আর সন্ত্রাসী জয় ও আরমানের গল্প শুনেছিলাম, এখন শুনছি মুফতি হান্নানের দল. ভিকটিম আ লীগ এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, তাদের বিচার শেষ করার অবকাশ না দিয়েই ক্রোধান্ধ জলপরীরা ‘নতুন 'জজমিয়া’'র গল্প ফাঁদতে শুরু করেছেন!
* জলপরী আরও লিখেছেন, ‘'আমার দেশ রক্ষা করবে তারা, নিজেদের ই রক্ষা করতে পারে নাই’.'
ভাল বলেছেন. আরও ভাল বচনটি হল -– সেনাবাহিনী ততক্ষণই আপনাকে রক্ষা করবে, করতে পারবে, যতক্ষণ জলপরীরা তথা দেশবাসী তাদের উপর আস্থা রাখবেন, তাদের সাপোর্ট দিয়ে যাবেন.
* জলপরী লিখেছেন, ‘'সুন্দর নারী মানেই তাদের সম্পত্তি, যে কোনভাবে আপনাকে বাজাবেই’.'
এমন অভিযোগের দীনতা দেখে করুণা হয়. জলপরীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তাকে নিশ্চয় কেউ বাজায়নি, বাজাতে চাইলেও বাজেননি. বস্তুত, সুন্দর নারীর প্রতি শালীন প্রেম নিবেদন বা বিয়ের প্রস্তাবে অন্যায় কিছু নাই, সেনা-অফিসার হলেও নয়. নিবেদন বা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের অধিকার নারীর বা তার পরিবারের আছে. সেনাসদস্যদের জন্য দেশে ভিন্ন কোন সম্পত্তি আইন নাই.
* জলপরী লিখেছেন, ‘'হালে তো মনে হয় ২জন মন্ত্রীও হয়েছে। সারাজীবন রাজনীতি করবে, মিছিলে মার খাবে এক গ্রুপ তারা শুধু উর্দির জোরে সব গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে যাবে’.'
প্রথমত, বর্ণিত মন্ত্রীরা উর্দি খুলে ফেলেছেন বহু আগে, এখন তারা সাধারণ নাগরিক মাত্র. উর্দি পরার দোষে চিরদিনের জন্য কারও নাগরিক অধিকার সিজ হয়ে যায় না. গত ৫-৭ বছরে রাজপথে সবচেয়ে একটিভ মন্ত্রীদের অন্যতম বাণিজ্যমন্ত্রী লে কর্নেল ফারুক খান (অব). আর রাজপথে রক্তাক্ত হওয়াদের প্রধানতম হলেন ভূতপূর্ব সেনাপ্রধান মে জেনা শফিউল্লাহ. জেনারেল (অব) তারেক বা সুবিদ আলি কোন মন্ত্রিত্ব পাননি, তাদের অবসরপূর্ব উর্দির ওজন কিন্তু মন্ত্রিত্ব পাওয়া লে কর্নেল-এর চেয়ে বেশি. যারা মন্ত্রী হয়েছেন তারা একান্তই রাজনৈতিক মেধা ও যোগ্যতার (পজেটিভ-নেগেটিভ – উভয় অর্থে) বলেই হয়েছেন. এর বাইরে ‘'উর্দি’' কী করে ‘'জোর'’ খাটাল, সেই কল্পকাহিনী শুনালে হয়ত আমাদের জ্ঞানবৃদ্ধি হত.
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:১০