somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৫

০৯ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৭. * শূন্য আরণ্যকের তালিকা: ‘'জাতিসংঘ শান্তি মিশনের টাকার হিসাব'’.

কী হিসাব চাওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়. জাতিসংঘ শান্তি মিশনে চাকরি করে জাতিসংঘ থেকে ভাতা পাওয়ায় দোষ কোথায়? কাকেই বা কেন হিসাব দিতে হবে? অবগতির জন্য জানাতে চাই, সেনা সদস্যের প্রাপ্য ভাতা থেকে ২০% কেটে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়, যে নিয়মটি আর কোন দেশে নাই, এমন কি আমাদের পুলিস বাহিনীতেও নাই. আর এই নিয়মটি সেনাবাহিনীর স্বউদ্যোগে চালু হয়েছে. বৈধপথে আসা এ অর্থ থেকে সরকার বিপুল রাজস্ব পাচ্ছে.

পাশাপাশি, রিইম্বার্সমেন্ট থেকে আরও বিশাল আয়. জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ‘'ড্রাই লিজ'’ ও '‘ওয়েট লিজ'’ বলে দুই ধরণের চুক্তি আছে. ড্রাই লিজে অস্ত্র, গাড়ি, সরঞ্জাম, আবাসন, খাওয়াদাওয়া সবকিছুর সরবরাহকারি জাতিসংঘ. আর যখন ঐসব লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা কোন দেশ নিজেরাই করে, সেটা ওয়েট লিজ. এ ক্ষেত্রে অস্ত্র, গাড়ি, সরঞ্জাম, আবাসন ইত্যাদির জন্য অকল্পনীয় হারে রিইম্বার্সমেন্টের অর্থ পরিশোধ করা হয় ঐ দেশকে. উদাহরণস্বরূপ, একটি জিপের মূল্য তিন বছর রিইম্বার্সমেন্ট পেলেই উঠে যায়. দেশে ফিরে ঐ জিপটি আরও ৮-১০ বছর অনায়াসে চলে. বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাওয়াদাওয়া ছাড়া বরাবর অন্যান্য ক্ষেত্রে ওয়েট লিজে থাকে. আফ্রিকার তীব্র গরমে জাতিসংঘের এয়ারকন্ডিশন্ড আবাসন ও গাড়ি উপেক্ষা করে সেনা সদস্যেরা তাবুতে, অস্থায়ী টিনের ঘরে, এসিহীন গাড়িতে দগ্ধ হয় এতটুকু নিজের জন্য নয় কিংবা, সেনা-অফিসাররা ব্যক্তিগত কমপিউটার অফিসে রেখে সরকারি বলে চালিয়ে দেয়ার মত অসততা দেখায় শধুমাত্র তাদের কষ্টের বিনিময়ে দেশকে কিছু ডলার দেয়ার জন্য (দেশ রিইম্বার্সমেন্ট না পেলেও তাদের ভাতা প্রাপ্তির কোন কমবেশি হবে না).

মনে আছে ২০০১ সালে নতুন সরকার আসার পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যখন আশন্কাজনক ছিল, তখন রেমিটেন্সের প্রবাহ হু হু করে বেড়ে গিয়ে সরকারকে স্বস্থি দিয়েছিল? হ্যা, তখনই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বন্ধপ্রায় জাতিসংঘ শান্তি মিশনে হু হু করে যাওয়া শুরু করেছে. রেমিটেন্সের প্রবাহে সেনাবাহিনীর অবদান কেউ বলে না, হয়ত তাতে অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয়ে যাবে বলে, হয়ত বা অনুৎপাদনশীল বলে খোটা দেয়ার পথ বন্ধ হবে বলে, অথবা হয়ত অন্য কোন জঠিল সমীকরণে!

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:১০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×