শেষ টান সুখটান , একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করে , মনে হয় স্বর্গে আছি , মাথা ঝিম ঝিম করে ভালই লাগে , পিছনের সৃত্মি ভুলে থাকা যায় , কেমন যেন ঘুম ঘুম আসে মাথা ঘুরালে ,এটা ছিল আমার কিছু পরিচিত ব্যক্তি যারা সচারাচার ধূমপান করে তাদের উক্তি ।
আমার মনে হয় যুব সমাজের নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে থাকার জন্য আমরা সবাই কম বেশি দ্বায়ী ! ক্লাসের টিচার , বরো ভাই , পরিবার বা যারা উপদেশ দেয়ার মত আছে তারা একটা ইউনিভার্সাল কথা বলেন যে, সিগারেট ভুলেও খাবানা একবার খেলে নেশায় পেলে আর জীবনেও ছারতে পারবানা । অর্থাৎ, একটা ছেলে যদি কখোনো ভুলে একবার সিগারেট খেয়েও ফেলে তাহলে তার কানে এই শব্দটাই বাজতে থাকে যে একবার খেয়েছ তো আর নেশা ছারতে পারবানা । এক্ষেত্রে লক্ষ্যকরলে দেখা যায় যে ছেলেটার মনে এই ধারনাটাই সৃস্টি হয় যে আমি তো ধুমপান করেই ফেলেছি তাহলে আর কিভাবে ছারি , আসলে ব্যাপারটা এরকম ভাবে উপস্থাপন না করে আমাদের অন্য ভাবে উপস্থাপন করা উচিৎ --
বর্তমান সমাজে সব থেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল যুব সমাজ এবং কিশোরদে সুপথে পরিচালিত করা । কিভাবে ? তাদের কড়া শাসন করবো ? তাদের অপরাধের জন্য মারধর করবো নাকি তাদের বুঝাবো ? অথবা সেই চিরচারিত উপদেশ---!!
আমার মনে হয় এসব কোন কিছুতেই কাজ হবেনা । এর জন্য চাই অন্য পদ্ধতি । বর্তমানে সবাই প্রযুক্তি নির্ভর , তাই আমাদের এমন কিছু পদ্ধতিতে যুবক বা কিশোর দেরকে সচেতন করতে হবে এমন কিছু জায়গা বেছে নিতে হবে যেখানে সবাই নিজের অজান্তেই সচেতন হয়ে যাবে । যেমন , আমরা সবাই নিজ নিজ ফেসবুক প্রফাইলে ধুমপান প্রতিরোধ সম্পর্কিত কিছু স্টাটাস দিতে পারি,যা হবেনা কোন উপদেশ মূলক বা আদেশ মূলক হতে পারে আমাদের কোন বাস্তব অবিজ্ঞতা বা কারো উদাহরন ..
কিন্তু তার আগে নিজেকে একবার প্রশ্ন করি ......
আমি কি কোন সন্তানের ধুমপায়ী বাবা ? তাহলে আজই পরিত্যাগ করব । কারন এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে যেসকল সন্তানেরা তার বাবাকে ছোট বেলা থেকে ধুমপান করতে দেখে, কেীতুহল বসত তাদের ধুমপানে বেশি আসক্ত হবার সম্ভাবনা থাকে । এতে গবেষনার দরকার নাই আমরা এমনিতেই বুঝি যে ছেলে যদি বাবাকে ছোট বেলা থেকে ধোয়া খেতে দেখতে দেখতে বর হয়, তবে তার কৌতুহল হওয়াইত স্বাভাবিক যে, ওর ভিতর এমন কি আছে যার জন্য বাবা এটা প্রতিদিন খায়।
আপনি কি কারো আসক্ত বর ভাই? তাহলে আপনার ছোট ভাইকে নিরাপধ রাখতে আজই ত্যগ করুন এই বিষ খাওয়া ।
এবার আমরা যুব সমাজ কখনো কি নিজেকে একবার প্রশ্ন করি যে.......
১. আমিকি আমাকে সত্যিই ভালবাসি ?
২. আমিকি আমার মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে চাই?
৩. আমিকি আমার বাবা মাকে সুখি দেখতে চাই?
৪. আমিকি আমার পরিবার কে একটু ভালরাখতে চাই?
৫. আমিকি আমার বাবার রক্ত জল করা টাকা দিয়ে ফুর্তি করবো, সিগারেট খেয়ে ?
যারা ভালবেসে ব্রেক আপ হবার ফলে সিগারেট খাই বা আপন কারো থেকে কস্ট পাই তারা কি একবারো ভাবি যে,
ধুমপান কি আমার ভালবাসা ফিরিয়ে দিতে পারবে ? মেয়েটাত ঠিক ই স্বামী শংসার নিয়ে সুখি থাকবে হয়ত বিয়ের দিন বা সর্বোচ্চ কয়েকদি আপনাকে মিস করবে এর বেশি কিছু নয় । তাছারা কয়টা মেয়েই বা সুইসাইড করে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে । তাছারা সিগারেট খেতে কি খুব সুস্বাদু?!!মোড়কের গায়ে লেখা থাকে ধূমপান ক্যানসারের কারন ............কিন্তু আমরা কি জানি ক্যানসার নাইবা হোক তার পরেও আমরা যে সকল জিনিস হারাবো সেটা কি ?
ধরুন আপনার দুটা ফ্রেন্ড , দুজনই ক্লাসের খারাপ ছাত্র , একজন আসক্ত হয়েছে ধুমপান , গাজা , ইয়াবা , ফেনসিডিল এর উপর আর একজন এসব কিছুই খায়না । তাহলে দুজনই খারাপ ছাত্র হওয়া সত্যেও ধুমপায়ীর ভিতর যে পার্থক্য গুলো থাকবে , অর্থাৎ সচারচার দেখা যায় তা হল .....
..........ধুমপায়ী............
১. অল্পতে মাথা গরম হয়ে যায় ।
২. রাগ হলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনা ।
৩. অপরাধ প্রবনতা বেশি থাকে
৪. বেশির ভাগ কাজ ভালমন্দ চিন্তা না করে শুরু করে ।
৫. মানুষের সাথে মাঝে মাঝে খারাপ আচরন করে।
৬. মেয়েদের প্রতি বেশি দুর্বল হয় , এবং ইভটিজিং এর মত খারাপ কাজ করে ।
৭.সময় বাজে কাজে ব্যায় করে ।
৮.নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারেনা ।
৯.নেশা জাতিয় বস্তু না পেলে অস্থির হয়ে উঠে ।
১০. অতিরিক্ত ইমশোনাল হয়ে পরে যা খুবই মারাত্মক ।
আরো হাজারো কারন আছে যা এক জন ধুমপায়ী মানূষের ভিতর ধীরে ধীরে দেখা যায় .. অর্থাৎ মানসিক ভারসাম্য বা স্বাভাবিক চেতনা বিলুপ্ত হয় । , তাহলে কি আমরা কি কেবল ক্যানস্যার এর ভয় দেখিয়ে ধুমপান থেকে বিরত রাখবো? ম্যাডিকালি মানুষের সব কিছু মাথা বা ব্রেইন দ্বারা নিয়ন্ত্রন হয় এবং নেশার ফলে মাথার চিন্তা চেতনা বিকৃত হতে শুরু করে অর্থাৎ, আমাদের নিজেকে আমরা সঠিক পর্যায়ে পরিচালনা করতে পারিনা । ফলে নিজেদের অনেক অনাকাঙ্খিত ঝামেলায় পরতে হয় ।
তাই আমদের উচিৎ অন্তত নিজেদের কথা , আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মর কথা চিন্তা করে নিজ নিজ স্থান থেকে সচেতন হওয়া ও সবাইকে সচেতন করা-- -----
চলবে --------------