পাঁচশত বছরের ইতিহাস আজকে চাপা দিতে যাচ্ছেন! ভুলে যাবেন না মুসলিম শাসনের ইতিহাস কিন্তু সুদীর্ঘ ৮০০বছরের। ছিলনা তেমন কোন অন্যায়-অবিচার দূঃশাসন। সাজিয়েছি ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্যের ঐশ্বর্য দিয়ে,পরিচয় করিয়েছি সারা বিশ্বের কাছে মানসম্মত,রুচিশীল,অত্যাধুনিক শিল্পকলা নিদর্শন হিসেবে ভারতকে।
বর্তমান সময়ে যে দিকে তাকাবেন শুধুই মুসলমান নির্যাতন-নিপীড়ন,অবহেলা-বাঞ্চনার শিকার চোখে পড়বে। প্রতিনিয়ত পবিত্র আল আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনের মুসলমানের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে! ফিলিস্তিনি থেকে শুরু করে ইরাক,আফগানিস্তান,সিরিয়া,ইয়েমেন সব জায়গায় মুসলামানরাই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
ইতিহাসের পাতায় চোখ ভোলালে দেখা যাবে বিশ্ব সভ্যতার গুড়াপত্তন হয়েছে মুসলমানদের হাতেই। ইউরোপ থেকে শুরু করে ভারতবর্ষ সুনিপুণভাবে মুসলমানরাই সভ্যতা গড়েছে। অথচ সর্বক্ষেত্রে আমরা আজ ক্লেশিত।
আমাদের এই পরিস্থিতি বা সংকটের জন্য আমরা নিজেরাই দ্বায়ী! কারণ যেকোন পরিস্তিতিতে আমরা আল কোরআন ও হাদিস থেকে শিক্ষা গ্রহনে অনাগ্রহী।
আল কোরআন হচ্ছে আমাদের সকল সমস্যা সমাধানের একমাত্র উৎস। সূরা আল ইমরানের ১৪৭তম আয়াতে বলা হয়েছে,
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ اِسْرَافَنَا فِیْۤ اَمْرِنَا، وَ ثَبِّتْ اَقْدَامَنَا وَ
انْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ
‘রাব্বানাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফি আমরিনা, ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়াংচুরনা আলাল ক্বাউমিল কাফিরিন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৪৭)
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের গোনাহসমূহ এবং আমাদের কাজে যে সীমালঙ্ঘন ঘটে গেছে তা ক্ষমা করে দিন। আমাদের জনপদকে দৃঢ়পদ রাখুন এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় দান করুন'
এই আয়াতের মাধ্যমেই কি বুঝা যায় না যে, আল কোরআনই হচ্ছে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান।
আমরা সবাই যদি আলকোরআন থেকে শিক্ষা গ্রহন করতাম তাহলে কি ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষ আমাদের হাতছাড়া হত?
বিশ্বনবী (সঃ) বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেন,
'আমি আমার পরে তোমাদের জন্য যা রেখে যাচ্ছি তা তোমরা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে রাখবে। তার ওপর আমল করবে। তাহলে তোমাদের পতন ঘটবে না। আর তা হচ্ছে আল্লাহর কুরআন ও নবীর সুন্নত।'
সুতরাং আমাদের উচিত কোরআন ও হাদিস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে আল্লাহর কাছে আমাদের ভুলের জন্য প্রতিনিয়ত ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং এগিয়ে যাওয়া।
তাহলে একদিন টিকই আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে আমাদের স্বধিকার ফিরিয়ে দিবেন ইন শা আল্লাহ।