আমি হয়তো অনেক ছোট একজন মানুষ হয়ে আপনাদের সামনে অনেক বড় বড় বিষয় তুলে ধরি বা তুলে ধরার চেষ্টা করি। তাই বলে এই নয় যে, আমি কারো লেখা নকল করি। তবে আমি অনেক গুণীজনের লেখা পড়ি এবং নিজ থেকে বাস্তবতার আলোকে কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস বাক্ত করি। বাঙ্কিম চন্দ্রচট্টোপাধ্যায় 'রচনা শিল্পগুণ' নামক প্রবন্ধে বলে ছিলেন, 'লেখার ভাব এলেই লিখে ফেললে রচনার শিল্পগুণ নষ্ট হয়'। এই বিষয়ে আমি দ্বিমত পূষন করি। যদি আমি বার বার লিখে ভুল না করি তাহলে কিভাবে বুঝবো আমার রচনায় কতটুকু শিল্পগুণ আছে বা নষ্ট হচ্ছে। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে অনেক গুণীজন আছেন, আপনারা যদি আপনাদের মতামত আমার লিখার মধ্যে না জানান, তাহলে আমি বুঝতে পারব না কতটুকু আমি আগাতে পেরেছি। আমি মনে করি সবাই আমার লিখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং ভুলক্রুটিগুলো জানিয়ে দিবেন।
পরিবারের মধ্যে আমার অবস্তান ছিল সবার ছোট । সেই হিসেবে আমি ছিলাম বা আছি 'আলাল এর ঘরের দুলাল'। ছোটবেলা থেকে পড়ালেখার প্রতি ছিল চরম অনীহা।
এর পরেও আমার মা-বাবা ভাই-বোনের চেষ্টার ফসল হিসেবে আমি আজ স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মহান রবের ইচ্ছায় এবং মা-বাবা ভাই-বোনের প্রচেষ্টায় ,আমি এতটুকু আসতে পেরেছি। জানিনা মূল গন্তব্বে পৌছাতে পারব কি না। ইচ্ছা একটাই সবার দোয়া এবং ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
লেখা-লিখির বিষয়টা আমার নিজের মাধ্যমে আপনাআপনি ফুটে উঠেনি, ফুটে উঠেছে পরিবারের সবার মাধ্যমে। আমরা নিশ্চয়ই জানি পরিবার চিরন্তন মাতৃসদন। তাই পাঠ্যবই পড়ে যা শিখেছি তার অর্ধেক পরিবারের কাছ তেকে শিখেছি বলে মনে হয়। শেখার যেমন শেষ নেই তেমনি পড়ালেখারও শেষ নেই। আমার বাবা ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক। সারা জীবন মানুষের মধ্যে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দেবার প্রচেষ্টা করে গেছেন। প্রবাস জীবনেও শিক্ষার আলো ছড়িতে দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি আমার বাবাকে নিজের আদর্শ বলে মনে করি। বাবার মধ্যে সব সময় নিজেকে খুজে পাওয়ার চেষ্টা করি। ভাইবোনের কথা না বললেই নয় তাদের ভালবাসা আর স্নহের চাদরে এখনও মুড়ানো আছি।
নিজের সম্বন্ধে অনেক কিছু লিখে বা বলে শেষ করেতে পারব না। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করি। কীর্তি মানে মৃত্যু নাই। মানুষ নিজের কর্মের মধ্যে বেঁচে তাকে, আমি ও চাই আপনাদের সবার মাঝে কর্ম করে বেঁচে তাকতে চাই। তাই আমার প্রতিটি বিষয়ে আপনাদের মতামত এবং অংশগ্রহণ কামনা করছি।