শূন্যতা আর পূর্ণতার মুখোমুখি বসবাস
ইট-কাঠের শহরে বন্য মেঘের আনাগোনা
পরদেশী মেঘ যাও রে ফিরে। বলিও আমার পরদেশী রে.....
মেঘ আর সূর্যের লুকোচুরি খেলা
এক চিলতে নাগরিক মেঘ
রিক্ততায় সিক্ত বিষন্নতার গান
[ছবিঃ নিজের তোলা]
.....…......................................
'বৃষ্টিস্নাত'
আমার এখানে আজ তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে অভ্র
জল নেমেছে মুষলধারে
আকাশে জমাট মেঘের বাঁধ ভেঙ্গেছে।
তোমার ওখানেও কি হচ্ছে? মেঘের ওপারে?
নাকি তুমিই বৃষ্টি নামাচ্ছো
কিংবা বৃষ্টি হয়ে ঝরছো
আমার জন্য
আমায় আলতো করে ছুঁয়ে দেবার জন্য।
তবে কেন কৃপণতা কর?
কেন রোজ রোজ নামাও না
কিংবা নামো না
কেন ছয় মাসে নয় মাসে একবার
কেন রোজ আমায় ভেজাও না
এমন বছরে দু'একদিনে তো আমার মন ভরেনা।
এমন মাতাল করা বৃষ্টি হলেই ইচ্ছে হয়
নিজেই বৃষ্টি হয়ে যাই
ঝমঝম ঝরে পড়ি তোমার উঠোনে
ভিজিয়ে দেই তোমার আঙিনা,
সিক্ত করি তোমার দেহ, মন
তোমার শরীরময় লেপ্টে থাকি বৃষ্টি হয়ে।
আবার যেদিন তোমার দেশে
আকাশ কালো করে মেঘ জমবে
বৃষ্টি ঝরবে অঝোরে
জেনো সে জলধারা আমিই
দোহাই লাগে অভ্র,
তুমি ঘরে বসে থেকোনা
বের হয়ে এসো
অন্তত দাওয়ায় বোসো একটুখানি
নিজেকে সমর্পণ কোরো বৃষ্টির কাছে
অবগাহন কোরো নিজেকে
আমায় আলিঙ্গন কোরো।
আর মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়ে এসো
আমার শুষ্ক আকাশে
ভিজিয়ে দিও আমায় ভালোবাসায়
আমিও নাহয় ভেজাবো তোমায় কদাচিৎ
হেমন্তের এমন অবেলায়।।
(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
[আরবের শুষ্ক মরুদ্যানে ইদানিং ঘনঘন মেঘবৃষ্টির আনাগোনা মন উচাটন করে। গুড়গুড় শব্দে বিদ্যুতের ঝলকানি বুকের ধুকপুক বাড়িয়ে দেয়। তখন মন আর ঘরে থাকেনা। আবার কখনো মনে হয় আজ আমি কোথাও যাবনা। আজ সেই মেঘ-বাদলের যৎসামান্য ছবিতা আর বৃষ্টিতা।]
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৭