রোম্যান্টিক–কমেডি জেনর আমার প্রিয় জেনরগুলোর মাঝে অন্যতম । আপনি যে কোনো সময় , যে কোনো মুডে এই জেনরের মুভিগুলো দেখতে পারেন এবং বেশীরভাগ সময়েই এই মুভিগুলো আপনাকে এন্টারটেইন করবে । বেশ কিছু ভাষার এই জেনরের কিছু মুভি দেখা আছে আমার । সেই মুভিগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে চাই । ধারাবাহিকভাবে এগুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে । আজকে ইহার প্রথম পর্ব
১। লীপ ইয়ার
রোম্যান্টিক–কমেডি মুভিগুলোয়া মাঝে অন্যতম প্রিয় একটি মুভি । অভিনয়ে আছেন অ্যামি অ্যাডামস , ম্যাথিউ গুড এবং অ্যাডাম স্কট । পরিচালনা করেছেন আনান্দ টাকার ।
আনা তার বয়ফ্রেন্ড জেরেমিকে প্রপোজ করার জন্য আয়ারল্যন্ডের ডাবলিনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় । কারণ , সেখানের রীতি অনুযায়ী কোনো মেয়ে কোনো ছেলেকে প্রপোজ করলে তাকে অবশ্যই সেই প্রপোজাল স্বীকার করতে হবে । পথিমধ্যে আনা নানা রকম বিপদের সম্মুখীন হয় এবং ডেক্লান নামক এক আইরিশ যুবক তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে । তারপরের কাহিনী শুধু আনা আর ডেক্লানের ।
মুভিটার প্রেজেন্টেশন অনেক বেশী ভালো ।
২। লেটারস টু জুলিয়েট
আরো একটি ভালোলাগার মুভি । অভিনয়ে আছেন আমার প্রিয় অভিনেত্রী অ্যামান্ডা সেইফ্রেইড , ক্রিস্টোফার এগান , গায়েল গারসিয়া এবং ভেনেসা রেডগ্রেভ । পরিচালনা করেছেন গ্যারি উইনিক ।
অ্যামেরিকান মেয়ে সোফি একজন অনেক বড় লেখিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে । বয়ফ্রেন্ড ভিক্টরের সাথে প্রি হানিমুন কাটাতে ইটালিতে যায় সোফি । সেখানে এক সংঘ দেখতে পায় । তারা সেক্রেটারিস অব জুলিয়েট নামে পরিচিত । তারা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন মানুষের চিঠির উত্তর দিয়ে থাকে । সেই চিঠিগুলো মূলত জুলিয়েটকে পাঠানো হয় (রূপক অর্থে) । সোফি সেই চিঠিগুলোর মাঝে অনেক পুরোনো এক চিঠি খুঁজে পায় । সেই চিঠিকে কেন্দ্র করেই মুভির কাহিনী এগুতে থাকে ।
আপুদের এই মুভিটা অনেক ভালো লাগবে বলা যায় । আর ভাইয়ারা না হয় অ্যামান্ডা সেইফ্রেইডের জন্যই মুভিটা দেখলেন ।
৩। টু লাভারস
অনেক অনেক আন্ডাররেটেড এক মুভি । অভিনয়ে আছেন গ্ল্যাডিয়েটর খ্যাত জোয়াকুইন ফোনিক্স , আইরন-ম্যান খ্যাত গিনেথ প্যাল্ট্রো এবং ভিনেসা শাউ । পরিচালনা করেছেন জেমস গ্রে ।
লিওনার্ড একজন হতাশাগ্রস্থ যুবক । তার ফিয়ান্সে তাকে ছেড়ে যাবার পর সে অনেকটাই জীবন বিমুখ হয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে । কিন্তু তার এই নরমাল এবং প্যাথেটিক জীবন অনেকটাই বদলে যায় যখন তার জীবনে সান্দ্রা এবং মিশেল নামক দুইজন তরুণী প্রবেশ করে । সে তখন সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটা হিমশিম খায় যে কাকে চুজ করবে ।
এই মুভির এন্ডিংটা আমার অন্যতম প্রিয় এক এন্ডিং । একটা ভালো শিক্ষাও দেয়া হয়েছে এটার মাধ্যমে ।
৪। নো স্ট্রিংস অ্যাটাচড
কিছুদিন আগেই দেখলাম । তেমন ভালো না হলেও দেখে ভালোভাবেই টাইম কাটানো যায় । অভিনয়ে আছেন নাটালি পোর্টম্যান এবং অ্যাস্টন কুচার । পরিচালনা করেছেন ইভান রেইটম্যান ।
অ্যাডাম সাডেনলি জানতে পারে যে তার বাবা তার এক্স গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডেট করছে । এটা জানার পর অ্যাডাম তার মোবাইল ফোনের পরিচিত , অপরিচিত সব মেয়েকে ফোন করতে থাকে এবং পরদিন সকালে অ্যাডাম নিজেকে এমার বাসার লিভিংরুমে আবিষ্কার করে । তারপর অ্যাডাম এবং এমার মাঝে অদ্ভুত এক ধরণের রিলেশনশিপ গড়ে উঠে । তারা এক নতুন টার্ম আবিষ্কার করে ‘সেক্স ফ্রেন্ডস’ ।
দেখতে পারেন ফ্রি থাকলে ।
৫। দ্য গার্ল নেক্সট ডোর
রোম্যান্টিক–কমেডির পাশাপাশি টিন-কমেডিও বলা যায় । অভিনয়ে আছেন এলিশা চার্টবার্ট , এমিল হিরশ এবং টিমোথি অলিফান্ট । পরিচালনা করেছেন লুক গ্রীনফিল্ড ।
১৮ বছরের ম্যাথিউ তার নতুন প্রতিবেশী ড্যানিয়েলের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পরে । কিছুদিন পরে ম্যাথিউ জানতে পারে যে ড্যানিয়েলে একজন এক্স পর্ণ স্টার । ম্যাথিউের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসে এবং ড্যানিয়েলে এটাকে ভালোভাবে গ্রহণ করে না । অবস্থা আরো খারাপ হয় যখন ড্যানিয়েলের আগের প্রযোজক কেলি ড্যানিয়েলেকে ফিরিয়ে নিতে আসে ।
অনেক অনেক মজার এক মুভি ।
৬। দ্য ৪০ ইয়ার অল্ড ভার্জিন
অসাধারণ এক মুভি । স্টিভ ক্যারেল মুভিটিকে অসাধারণ বানিয়েছেন । অভিনয়ে আছেন স্টিভ ক্যারেল , ক্যাথরিন কীনার এবং সেথ রোজেন । পরিচালনা করেছেন জুড অ্যাপাটাও ।
অ্যান্ডির বয়স ৪০ বছর । কিন্তু অবাক করা ব্যাপার সে এখনও ভার্জিন । অনেকবার সুযোগ পেলেও কারো সাথে সেক্স করা হয়ে উঠেনি । একথা তার বন্ধুরা জানলে তার অ্যান্ডিকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে চায় । কিছুদিন পর অ্যান্ডি একজন সিঙ্গেল মাদার ট্রিশের দেখা পায় এবং আস্তে আস্তে তারা একে অপরের প্রেমে পরে যায় ।
মুভিটা ভালো লেগেছে অনেক । আর স্টিভ ক্যারেল কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকলে মুভি ভালো না লেগে পারে ?
আজকে এই পর্যন্তই ।
চলবে ………………………………………………………….