কিষাণীর মনের কঠিন মৃত্তিকায় ভালোবাসার চাষাবাদ করতো এক কিষাণ!
ফুলে ফলে কিষাণীর কিশোরী অধরের হালকা জমিন নুয়ে পড়েছিল
অমরাবতী প্রেমের উষ্ণ ভালোবাসার উত্তাপে!
তাই কিষাণের বাঁশরী বাঁশির আনন্দলহরীতে মগ্ন হয়ে
ঘরে ছেড়ে হন্য হয়েছিল সেই চঞ্চলা হরিণী,
নগ্ন অন্ধকারের মগ্ন ভালোবাসায় লুটিয়ে পড়তে উদ্ভ্রান্তের মত
সমাজের রক্ত চক্ষুকে হেলায় দূরে ঠেলে
জগত সংসার ভুলে কপালেতে এঁকেছিল ভালোবাসার লালটিপ।
অবশেষে বেলা পরে এলে জোয়ান কিষাণ দুর্গম পর্বত চাষাবাদের অভিলাষে
কিষাণীকে ছেড়ে অন্য কোন বলগা হরিণীর বশ্যতায় যায় ছুটে!
আর কিষাণী পড়ে রয় সর্বস্বান্ত প্রতীক্ষার যাঁতাকলে
অনুযোগের অনুতাপে একটু একটু করে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে মৃত্তিকায় মিশে যেতে!
শ্রাবণের জলে ধুয়ে যায় কিষাণীর লালটিপ,
তবু কিষাণ ফিরে আসে না!
অন্তরীক্ষে গোধূলির পথ ধরে উড়ে আসে অতিথি বিহঙ্গরা অবশেষে!
শুধু কিষাণ ফেরে না!
ফিরে আসে রাতের অতন্দ্রপ্রহরীর টিমটিম জ্বলা জোনাকি,
জোছনার পরে আসে গ্রহণ লাগা চাঁদের অবসাদ!
কিষাণীর ডাগর চোখের কোমল চামড়ায় দুশ্চিন্তার মোটা কালিও ফিরে আসে
তবু কিষাণ ফেরে না!
ফিরে আসে কিষাণীর দুঃস্বপ্নের পথ ধরে অঙ্কুরিত বীজে নতুন শিশু!
কি জানি এক মরণ ব্যাধিও ফিরে আসে কিষাণীর শীর্ণ তনুতে,
শুধু এক কিষাণ ছাড়া!