নজরুল জয়ন্তী কে বলল, আচ্ছা - আমার জীবনে না এই ‘তুমি’ র সংখ্যা বেশি। তোমার কেমন ?
জয়ন্তী খুব হতবাক হয়েই বলল, মানে?
নজরুল বলল,
“মানে, তোমাকে বুঝিয়ে বলি - তুমি সবাইকে “তুমি” বলে সম্বোধন কর না।
তুমি কাউকে ‘তুই’ ,কাউকে সম্মান দিয়ে ‘আপনি’ আবার কাউকে ‘এই’ বা ‘এইযে’ অথবা কাউকে নিজের দেয়া নাম বা উক্ত ব্যক্তি’র আকিকা করে রাখা শুদ্ধ নামেই সম্বোধন করো। যেটা আমিও করি বা সবাই করে এবং সেটাই স্বাভাবিক, তাই না ? আমি তাই তোমার কাছে জানতে চাইলাম - তোমার জীবনে এই ‘তুমি’ সংখ্যা কত ?”
জয়ন্তী বলল, - এটা কি কখনো গোনা যায় নাকি?
‘আমি ভেবেছিলাম তুমি 'তুমি'র শ্রেণীবিন্যাস জান?’ বলে নজরুল একটু শয়তানি হাসি হাসল। আর জয়ন্তী, নাক উঁচু করে আর কপাল কুঁচকে বলল, জানি না!
এরপর, হাসি মাখা মাথা হেলাতে হেলাতে নজরুল বলল, “কেন জান না সেটা জানতে পারি?”।
সরল বিশ্বাসে জয়ন্তী একটা ছোটখাটো নিঃশ্বাস ছেড়ে ফেলে দিয়ে প্রশ্ন করলো, আচ্ছা তাহলে তুমিই বল ‘তুমি’ র শ্রেণীবিন্যাস টা কেমন।
সিরিয়াস চেহারা নিয়ে নজরুল প্রশ্ন করলো - “কেন? তোমার কাছে কি সব ‘তুমি’ এক?”। ভাবটা এমন যেন সে কোন এক বিশাল বিজ্ঞ। জয়ন্তী ও কম না, বিরক্তিকর ভঙ্গির মুখটা বানিয়ে বলল - ‘না’!, বলেই মুচকি হাসল। বরাবরের মত নিষ্ঠুর নজরুল বলল- “তাহলে তো তুমি 'তুমি'র শ্রেণীবিন্যাস জান - তাও মান না।” বলে, এদিক সেদিক তাকাতে শুরু করলো।
কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে জয়ন্তী বলল - এতক্ষণ বুঝি নি, এখন বুঝলাম।
প্রতিউত্তরে "যাক সার্থক" বলে নজরুল হাটা শুরু করলো আর জয়ন্তী হা করে দাঁড়িয়ে থাকলো।
তার একটু পরেই, টলমল চোখের একবার একপলক।
চলবে ......
(গল্পের নাম উপন্যাস/তৌকির আজাদ) রাত ০৩ঃ০৩, ২২/৪/২০১৬।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৪৯