সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কুমিল্লা মেডিকেলের প্রিন্সিপাল মোসলহ উদ্দিন আহমেদ জরিমানার নাম করে উচ্চ হারে টাকা আদায় করছেন।২৭ অক্টোবর ঈদ-উল-আযহার পর কলেজ কতৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে সকলকে হলে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদাণ করে।অথচ অন্যান্য সরকারি মেডিকেলে কলেজে যেখানে ঈদ-উল-আযহার ছুটি ছিল ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।সারা দেশ থেকেই এই সরকারি মেডিকেলে ছাত্র-ছাত্রীরা ডাক্তার হওয়ার আশা নিয়ে পড়তে আসে।এসব ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। অথচ তাদের কাছ থেকে যে হারে জরিমান আদায় করা হচ্ছে তা কোনভাবেই এসব ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থনৈতিক সামর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।জরিমানার হার নিম্নরূপ-
*৩০.১০.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ১০০ টাকা
*৩১.১০.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ১০০+১০০=২০০ টাকা
*০১.১১.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ২০০+৫০০=৭০০ টাকা
*০২.১১.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ৭০০+৫০০=১২০০ টাকা
*০৩.১১.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ১২০০+৫০০=১৭০০ টাকা
অর্থাৎ কোন ছাত্র যতই অসুবিধা থাকুক তাকে ৩ তারিখে উপস্থিত থাকতেই হবে।অন্যথায় তাকে এই ১৭০০ টাকা জরিমান প্রদাণ করতেই হবে।যেখানে অন্যান্য সব মেডিকেল কলেজের কার্যক্রমই শুরু হয়েছে ০৩.১১.২০১২.
কোন ছাত্র যদি তার অসুস্থতার কোন দালিলিক প্রমাণ(প্রেস্ক্রিপশন) দেখাতে পারে,সেখানে তার জরিমানা মওকুফের আবেদন বিবেচিত হওয়ার কথা।অথচ কুমিল্লা মেডিকেলের প্রিন্সিপাল ছাত্র-ছাত্রীদের কোন আবেদনই আমলেই নিচ্ছেন না। ‘একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত’ বলে তিনি তা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। উপর্যুপরি তাদের হুমকি দিচ্ছেন নির্দিষ্ট সময়ে জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে জরিমানা দ্বিগুণ করার।তিনি বলছেন এই টাকা মেডিকেলের উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে।অথচ প্রতিটি মেডিকেল কলেজের উন্নয়নের জন্য সরাকার থেকে নির্ধারিত বাজেট থাকে যা আদায়ের উৎস অবশ্যই এসব দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত ছাত্র-ছাত্রী নয়!
তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে রেখেছেন যদি এই খবর মিডিয়ায় আসে তবে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের দেখে নেবেন(উল্লেক্ষ্য,তিনি আগেও ১০০০ টাকা করে অবৈধভাবে জরিমানা আদায় করেছিলেন যা পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং এই টাকা কোথায় কিভাবে ব্যয় করা হয়েছে তার হিসাব আজ পর্যন্ত স্পষ্ট নয়)।আর তার এই হুমকি একেবারেই অমূলক নয় কারণ মেডিকেলের পরীক্ষা পদ্ধতি অনেকটাই ভাইভা(মৌখিক) ভিত্তিক,যেখানে শিক্ষকরা চাইলেই ছাত্র-ছাত্রীদের পাস-ফেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে তাদের মাঝে এ নিয়ে চরম অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে যদিও তারা ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করতে পারছে না।
একজন কৃষকের সন্তান যখন এই মেডিকেলে পড়ছে তার কাছে নিশ্চয়ই এই টাকা পরিশোধ করা সহজ হয়ে উঠবে না!আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই ১৭০০ টাকা জোগাড় করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তাই এখানে পড়ুয়া অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের এই অসুবিধার কথা নজরে নেবার জন্য উপযুক্ত কতৃপক্ষের সুনজর কামনা করছি।
মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত একজন মধ্যবিত্তের সন্তান।
সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কুমিল্লা মেডিকেলের প্রিন্সিপাল মোসলহ উদ্দিন আহমেদ জরিমানার নাম করে উচ্চ হারে টাকা আদায় করছেন।২৭ অক্টোবর ঈদ-উল-আযহার পর কলেজ কতৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে সকলকে হলে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদাণ করে।অথচ অন্যান্য সরকারি মেডিকেলে কলেজে যেখানে ঈদ-উল-আযহার ছুটি ছিল ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।সারা দেশ থেকেই এই সরকারি মেডিকেলে ছাত্র-ছাত্রীরা ডাক্তার হওয়ার আশা নিয়ে পড়তে আসে।এসব ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। অথচ তাদের কাছ থেকে যে হারে জরিমান আদায় করা হচ্ছে তা কোনভাবেই এসব ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থনৈতিক সামর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।জরিমানার হার নিম্নরূপ-
*৩০.১০.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ১০০ টাকা
*৩১.১০.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ১০০+১০০=২০০ টাকা
*০১.১১.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ২০০+৫০০=৭০০ টাকা
*০২.১১.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ৭০০+৫০০=১২০০ টাকা
*০৩.১১.২০১২ ইং তারিখে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে জরিমানা ১২০০+৫০০=১৭০০ টাকা
অর্থাৎ কোন ছাত্র যতই অসুবিধা থাকুক তাকে ৩ তারিখে উপস্থিত থাকতেই হবে।অন্যথায় তাকে এই ১৭০০ টাকা জরিমান প্রদাণ করতেই হবে।যেখানে অন্যান্য সব মেডিকেল কলেজের কার্যক্রমই শুরু হয়েছে ০৩.১১.২০১২.
কোন ছাত্র যদি তার অসুস্থতার কোন দালিলিক প্রমাণ(প্রেস্ক্রিপশন) দেখাতে পারে,সেখানে তার জরিমানা মওকুফের আবেদন বিবেচিত হওয়ার কথা।অথচ কুমিল্লা মেডিকেলের প্রিন্সিপাল ছাত্র-ছাত্রীদের কোন আবেদনই আমলেই নিচ্ছেন না। ‘একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত’ বলে তিনি তা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। উপর্যুপরি তাদের হুমকি দিচ্ছেন নির্দিষ্ট সময়ে জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে জরিমানা দ্বিগুণ করার।তিনি বলছেন এই টাকা মেডিকেলের উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে।অথচ প্রতিটি মেডিকেল কলেজের উন্নয়নের জন্য সরাকার থেকে নির্ধারিত বাজেট থাকে যা আদায়ের উৎস অবশ্যই এসব দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত ছাত্র-ছাত্রী নয়!
তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে রেখেছেন যদি এই খবর মিডিয়ায় আসে তবে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের দেখে নেবেন(উল্লেক্ষ্য,তিনি আগেও ১০০০ টাকা করে অবৈধভাবে জরিমানা আদায় করেছিলেন যা পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং এই টাকা কোথায় কিভাবে ব্যয় করা হয়েছে তার হিসাব আজ পর্যন্ত স্পষ্ট নয়)।আর তার এই হুমকি একেবারেই অমূলক নয় কারণ মেডিকেলের পরীক্ষা পদ্ধতি অনেকটাই ভাইভা(মৌখিক) ভিত্তিক,যেখানে শিক্ষকরা চাইলেই ছাত্র-ছাত্রীদের পাস-ফেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে তাদের মাঝে এ নিয়ে চরম অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে যদিও তারা ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করতে পারছে না।
একজন কৃষকের সন্তান যখন এই মেডিকেলে পড়ছে তার কাছে নিশ্চয়ই এই টাকা পরিশোধ করা সহজ হয়ে উঠবে না!আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই ১৭০০ টাকা জোগাড় করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
তাই এখানে পড়ুয়া অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের এই অসুবিধার কথা নজরে নেবার জন্য উপযুক্ত কতৃপক্ষের সুনজর কামনা করছি।
মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত একজন মধ্যবিত্তের সন্তান।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৬