somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপ্রকৃতস্থ [সাইকো থ্রিল]

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষটা কে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে
দিলাম খাট থেকে,পড়ে গেল মাটিতে।
ঘর টা মদের গন্ধে মৌ মৌ করছে।
কাছে গিয়ে বুঝলাম অচেতন হয়ে আছে
এখনো।
যা করার এখনই করতে হবে,মাথা কাজ করছে
না এখন কিছুতেই।
মানুষ টা বলে,মদ খেলে নাকি মাথা খুলে
যায়,আধ খাওয়া মদের বোতল টা পাশেই পড়ে
আছে।
কত দিন ভেবেছি বিশ খেয়ে মরে যাবো,মদ
নিশ্চই বিশের চেয়ে ভয়াবহ হবে না।
বোতলের ছিপি খুলে গলায় ঢাললাম ,মনে
হচ্ছে কলিজা টা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিচে
নামছে।
থামলে চলবেনা,সাহস প্রয়োজন এই মুহুর্তে
অনেক।
মানুষিক,এবং শারীরিক।
প্রথম আমার ঘাড় গুলো শিথীল হয়ে
এল,অনুভুতিটা হালকা দোলনায় দোল খাবার
মতই।
মাথাটাও বেশ খুলে গেল,আসলেই যেই
ভয়ংকর প্লেন আমি করে রেখেছি,তার
প্রয়োগ ঘটাতে অপ্রকৃতিস্থ হবার বিকল্প
নেই।
মানুষ টার কাছে গিয়ে পা দিয়ে লাথি দিয়ে
পড়ে থাকা শরীর টা উল্টে দিলাম।
এত সুন্দর মুখটার পিছনের লোকটার রুচিটা
ভয়ংকর বিভৎস।
তার বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই।
লোকটাকে টেনে হেচড়ে কোন মতে সামনে
রাখা চেয়ার টায় বসালাম।
এখনো পুরো অচেতন সে।
রান্না ঘরে ঢুকে এক পিস গ্রিল মূুরগী নিলাম
প্লেটে।
মানুষ টা মদের সাথে খাবার জন্য এনেছিল,
আমি অপেক্ষা করবো,তার ঞ্জান ফিরবার।
শক্ত নাইলনের দড়ি দিয়ে বাঁধলাম তার পুরো
শরীর,শক্ত করে চেয়ার টার সাথে,যাতে উঠে
দাড়াতে না পারে,আগে থেকে মজুদ করা
শেকল টা চেয়ারের হাতলে ঢুকিয়ে তালা
মারলাম জানালার গ্রিলে।ড্রয়ার খুলে
মাসকাল টেপ টা বেড় করে মুখ
আটকালাম,যেটা দিয়ে এতদিন আমাকে মুখ
আটকে নির্যাতন করতো সে।
আমার ঘটনার বর্ননা কেও শুনবার মতন নেই।
আর ঐ পশু রুপি মানুষ টাকে বাঁচাবার মতন
কেও আজ নেই।
আয়নার সামনে দাড়ালাম সটান হয়ে।
এখনো আমার মুখে মেকাপের প্রলেপ,গালে
রুজ,ঠোটে লিপস্টিক,কপালে টিপ।
আমাকে রোজ সাজতে হতো ঐ নর পশুটার
জন্যে,
বাথরুমে ঢুকে মুখটা ধুয়ে ফেললাম,
এবার আয়নার সামনে দাড়ানো ছেলেটাকে
সুদর্শন বলা যায়।
বুক ফেঁটে যাচ্ছে কান্নায়,আমি আসলে
কে,কি আমার পরিচয়?
আমার সাজানো সংসার,রিনা,বাচ্চা সব
কেড়ে নিয়েছে ঐ পশু টা,এত সহজে ছাড়বো
না ওকে।
গ্রিল টার শেষ টুকরো টা মুখে দিতেই নড়ে
চড়ে বসলো লোকটা।
চোখ খুলেছে।
ভাবতে পারেনি বোধ হয়,আবার নিজ স্বরুপে
আমি ফিরবো কোন দিন।
কিরে এমন ভাবে চমকে উঠলি যে?
নাকি আমাকে মেয়ে মানুষ ভাবতে ভাবতে
অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলি?
বাহ্ রে,ঘরে সুন্দরি বউ,বাইরে পুরুষ রুপি
নারি,আর কি চাই!
ভেবেছিলি আমার পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেই
আমি নারি হয়ে যাবো?
শোধ নেব না কিছুর?
আরে তুই কি আমাকে হিজরা বানাবি,আমি
তো ইচ্ছা করেই তোর ট্রাপে পা
দিয়েছিলাম।
আচ্ছা শোন ,গল্পটা বলি তোকে,
খুব ভালোবাসতাম আমি রিনি কে,
রিনি,চিন্তে পারছিস না?
তোর বউ।
আমার প্রেমিকা ছিল,যাকে প্রেগনেন্ট
অবস্থায় তুই বিয়ে করেছিলি।
কারন,আমার টাকা ছিল না।
তোর সম্পর্কে খোজ নিয়ে জানলাম
হিজরাদের বিশাল র্রেকেট চালাস তুই,তাই
স্বেচ্ছায় তোর ফাঁদে ধরা দিলাম আমি।
তোর দু নম্বারি স্বভাব টার
কথা শুনলাম অন্য হিজরাদের থেকে।সেই
থেকে তোর মনরঞ্জন করতে কি কি না
করেছি।কারন আমার তোকে একা প্রয়োজন
ছিল।
ভাবছিস আমি পাগল,হ্যা,যেই ছেলে তার
ভালোবাসার জন্য নিজের পুরুষ্যত্ব কুরবানি
করে,সে তো অবস্যই পাগল।
আমাকে যে ভাবে ছুয়েছিস তুই,রিনি কেও ও
ভাবে ছুয়েছিস,না?
আজ তোর সমস্ত শরীর ছোব আমি...।
প্রথমেই হাতের কাটা চামুচ দিয়ে মানুষটার
দুটো চোখ উপড়ে নিলাম।
তার পর বটি দিয়ে গলাটা কাটলাম,শরীরের
প্রতিটা অঙ্গ আলাদা করে কাটলাম,জড়ো
করলাম রান্না ঘরে রাখা বিশাল
ডেকচিটায়।
মাংশের মসল্লা কেনা ছিল
আগেই,তেল,পিয়াজ দিয়ে চড়িয়ে দিলাম।
দারুন ঘ্রান বেড় হচ্ছে রান্নার।
পুরুষের বেশে এখানে কেও চেনে না
আমাকে,বেড়িয়ে একটা ফোন দিলাম
হিজরাদের সঙ্গঠনে,যেখানে বিকৃত রুচির
মানুষটার লালসার স্বিকার হয়েছে আরো
অনেকে..
হ্যালো ,অমিক বলছি।
পুবাইলের খামার বাড়িতে আপনাদের সবার
জন্য সাব্বির স্যার খাবারের ব্যাবস্থা
করেছেন,রান্না করা পাতিল টা নিয়ে
যান,আর স্যারের বাড়িতেও এক বাটি খাবার
পৌছুতে ভুলবেন না যেন।
স্যার কোথায়?
তিনি চুমকি হিজড়ার সাথে মৌজ মস্তিতে
ব্যাস্ত,আগামি কয়েক দিন তার খোজ বা
খবর, স্যার তার স্ত্রির কাছে গোপন রাখতে
বলেছেন আপনাদের।
আমি বেড়িয়ে পড়লাম,মানুষের
ভিড়ে,এখানের কেও আমার চুমকি সত্বা
চেনে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×