মানুষটা কে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে
দিলাম খাট থেকে,পড়ে গেল মাটিতে।
ঘর টা মদের গন্ধে মৌ মৌ করছে।
কাছে গিয়ে বুঝলাম অচেতন হয়ে আছে
এখনো।
যা করার এখনই করতে হবে,মাথা কাজ করছে
না এখন কিছুতেই।
মানুষ টা বলে,মদ খেলে নাকি মাথা খুলে
যায়,আধ খাওয়া মদের বোতল টা পাশেই পড়ে
আছে।
কত দিন ভেবেছি বিশ খেয়ে মরে যাবো,মদ
নিশ্চই বিশের চেয়ে ভয়াবহ হবে না।
বোতলের ছিপি খুলে গলায় ঢাললাম ,মনে
হচ্ছে কলিজা টা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিচে
নামছে।
থামলে চলবেনা,সাহস প্রয়োজন এই মুহুর্তে
অনেক।
মানুষিক,এবং শারীরিক।
প্রথম আমার ঘাড় গুলো শিথীল হয়ে
এল,অনুভুতিটা হালকা দোলনায় দোল খাবার
মতই।
মাথাটাও বেশ খুলে গেল,আসলেই যেই
ভয়ংকর প্লেন আমি করে রেখেছি,তার
প্রয়োগ ঘটাতে অপ্রকৃতিস্থ হবার বিকল্প
নেই।
মানুষ টার কাছে গিয়ে পা দিয়ে লাথি দিয়ে
পড়ে থাকা শরীর টা উল্টে দিলাম।
এত সুন্দর মুখটার পিছনের লোকটার রুচিটা
ভয়ংকর বিভৎস।
তার বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই।
লোকটাকে টেনে হেচড়ে কোন মতে সামনে
রাখা চেয়ার টায় বসালাম।
এখনো পুরো অচেতন সে।
রান্না ঘরে ঢুকে এক পিস গ্রিল মূুরগী নিলাম
প্লেটে।
মানুষ টা মদের সাথে খাবার জন্য এনেছিল,
আমি অপেক্ষা করবো,তার ঞ্জান ফিরবার।
শক্ত নাইলনের দড়ি দিয়ে বাঁধলাম তার পুরো
শরীর,শক্ত করে চেয়ার টার সাথে,যাতে উঠে
দাড়াতে না পারে,আগে থেকে মজুদ করা
শেকল টা চেয়ারের হাতলে ঢুকিয়ে তালা
মারলাম জানালার গ্রিলে।ড্রয়ার খুলে
মাসকাল টেপ টা বেড় করে মুখ
আটকালাম,যেটা দিয়ে এতদিন আমাকে মুখ
আটকে নির্যাতন করতো সে।
আমার ঘটনার বর্ননা কেও শুনবার মতন নেই।
আর ঐ পশু রুপি মানুষ টাকে বাঁচাবার মতন
কেও আজ নেই।
আয়নার সামনে দাড়ালাম সটান হয়ে।
এখনো আমার মুখে মেকাপের প্রলেপ,গালে
রুজ,ঠোটে লিপস্টিক,কপালে টিপ।
আমাকে রোজ সাজতে হতো ঐ নর পশুটার
জন্যে,
বাথরুমে ঢুকে মুখটা ধুয়ে ফেললাম,
এবার আয়নার সামনে দাড়ানো ছেলেটাকে
সুদর্শন বলা যায়।
বুক ফেঁটে যাচ্ছে কান্নায়,আমি আসলে
কে,কি আমার পরিচয়?
আমার সাজানো সংসার,রিনা,বাচ্চা সব
কেড়ে নিয়েছে ঐ পশু টা,এত সহজে ছাড়বো
না ওকে।
গ্রিল টার শেষ টুকরো টা মুখে দিতেই নড়ে
চড়ে বসলো লোকটা।
চোখ খুলেছে।
ভাবতে পারেনি বোধ হয়,আবার নিজ স্বরুপে
আমি ফিরবো কোন দিন।
কিরে এমন ভাবে চমকে উঠলি যে?
নাকি আমাকে মেয়ে মানুষ ভাবতে ভাবতে
অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলি?
বাহ্ রে,ঘরে সুন্দরি বউ,বাইরে পুরুষ রুপি
নারি,আর কি চাই!
ভেবেছিলি আমার পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেই
আমি নারি হয়ে যাবো?
শোধ নেব না কিছুর?
আরে তুই কি আমাকে হিজরা বানাবি,আমি
তো ইচ্ছা করেই তোর ট্রাপে পা
দিয়েছিলাম।
আচ্ছা শোন ,গল্পটা বলি তোকে,
খুব ভালোবাসতাম আমি রিনি কে,
রিনি,চিন্তে পারছিস না?
তোর বউ।
আমার প্রেমিকা ছিল,যাকে প্রেগনেন্ট
অবস্থায় তুই বিয়ে করেছিলি।
কারন,আমার টাকা ছিল না।
তোর সম্পর্কে খোজ নিয়ে জানলাম
হিজরাদের বিশাল র্রেকেট চালাস তুই,তাই
স্বেচ্ছায় তোর ফাঁদে ধরা দিলাম আমি।
তোর দু নম্বারি স্বভাব টার
কথা শুনলাম অন্য হিজরাদের থেকে।সেই
থেকে তোর মনরঞ্জন করতে কি কি না
করেছি।কারন আমার তোকে একা প্রয়োজন
ছিল।
ভাবছিস আমি পাগল,হ্যা,যেই ছেলে তার
ভালোবাসার জন্য নিজের পুরুষ্যত্ব কুরবানি
করে,সে তো অবস্যই পাগল।
আমাকে যে ভাবে ছুয়েছিস তুই,রিনি কেও ও
ভাবে ছুয়েছিস,না?
আজ তোর সমস্ত শরীর ছোব আমি...।
প্রথমেই হাতের কাটা চামুচ দিয়ে মানুষটার
দুটো চোখ উপড়ে নিলাম।
তার পর বটি দিয়ে গলাটা কাটলাম,শরীরের
প্রতিটা অঙ্গ আলাদা করে কাটলাম,জড়ো
করলাম রান্না ঘরে রাখা বিশাল
ডেকচিটায়।
মাংশের মসল্লা কেনা ছিল
আগেই,তেল,পিয়াজ দিয়ে চড়িয়ে দিলাম।
দারুন ঘ্রান বেড় হচ্ছে রান্নার।
পুরুষের বেশে এখানে কেও চেনে না
আমাকে,বেড়িয়ে একটা ফোন দিলাম
হিজরাদের সঙ্গঠনে,যেখানে বিকৃত রুচির
মানুষটার লালসার স্বিকার হয়েছে আরো
অনেকে..
হ্যালো ,অমিক বলছি।
পুবাইলের খামার বাড়িতে আপনাদের সবার
জন্য সাব্বির স্যার খাবারের ব্যাবস্থা
করেছেন,রান্না করা পাতিল টা নিয়ে
যান,আর স্যারের বাড়িতেও এক বাটি খাবার
পৌছুতে ভুলবেন না যেন।
স্যার কোথায়?
তিনি চুমকি হিজড়ার সাথে মৌজ মস্তিতে
ব্যাস্ত,আগামি কয়েক দিন তার খোজ বা
খবর, স্যার তার স্ত্রির কাছে গোপন রাখতে
বলেছেন আপনাদের।
আমি বেড়িয়ে পড়লাম,মানুষের
ভিড়ে,এখানের কেও আমার চুমকি সত্বা
চেনে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭