যখন থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝতে শুরু করেছি, তখন থেকে দীর্ঘকাল সদ্যোপ্রয়াত শিনজো আবে ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন বিশ্বনেতা। ব্লক পলিটিক্সের অন্যতম কর্ণধার। অপঘাতে মারা গেলেন দুদিন আগে। কথা হলো: সে মারা গেছে, তাতে আমার কী!
কত নেতা উঠবে, কত নেতা পড়বে, কত নেতা বাঁচবে, কত নেতা মরবে। উঠুক, পড়ুক, বাঁচুক, মরুক, তাতে আমার কি! কারো প্রতি আমার কোনো রাগানুরাগ নেই। রাগানুরাগ নেই কোনো আততায়ীর প্রতিও। আমি উলুখাগড়াদের একজন।
আমরা উলুখাগড়ারা কখনো ভিনদেশী আক্রমণকারীদের সাথে মিশে যাই তাদের সেবক বা সঙ্গী হিসেবে, কখনো দেশ স্বাধীন করে পুনরায় অত্যাচারিত হই কথিত স্বাধীন দেশে, কখনো লঙ্কায় অরাজকতা কায়েম করে নিজেরা হয়ে যাই বিক্ষিপ্ত পতঙ্গপাল, কখনো ঘটাই ব্যর্থ বিপ্লব, কখনোবা সফল, কখনো অন্ধ জাতীয়তাবাদ বা উন্মাদনার আগুনে ডুবে আত্মাহুতি দিই, কখনো মন্বন্তরে না খেয়ে মরি ঝাঁকে ঝাঁকে, কখনো ফলাই বিপুল শস্য, কখনো যুদ্ধে খুন হই ঝাঁকে ঝাঁকে, কখনো যুদ্ধে খুন করি ঝাঁকে ঝাঁকে। আমরা এসব বহুবার করেছি ইতিহাসের পাতায় পাতায়, অথচ ইতিহাসের পাতায় আমরা নেই। তাও আমরা আছি চিরকাল।
আমরা উলুখাগড়ারা মেজরিটি হয়ে আছি বিগত দশ হাজার বছর বা এমন কোনো দীর্ঘ কাল ধরে। এভাবেই টিকে থাকব, হয়ত আরো লাখখানেক বছর। না টিকলেও কী আসে যায়। কোনো প্রজাতির টিকে থাকা বা না-থাকা আদৌ কি কোনো অর্থপূর্ণ ঘটনা?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০২