সুরা নিসা,আয়াত# ৬৯
“ এবং যারা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করবে,সুতরাং তারা সেই লোকদের সাথী হবে নবীগন,সত্যবাদীগন,শহীদ্গন এবং সতকর্মপরায়নদের মধ্য থেকে আল্লাহ যাদের নিয়ামত দান করেছেন।আর তারা কতই না উত্তম সাথী!(১)”
মুলঃমাওলানা ফরমান আলীর উর্দু তাফসীর
অনুবাদঃ মাওলানা শেখ সাবের রেজা
সম্পাদনা ও পুনর্লিখনঃ হুজ্জাতুল ইসলাম মোঃ আনোয়ারুল কবির আরিফ(ষ্টুডেন্ট অফ পি এইচ ডি,ইরান)
প্রকাশকঃঈমান ফাউন্ডেশনের পক্ষে,নুরুস সাকলায়েন জনকল্যান সংস্থা,বেগম বাজার,ঢাকা।
সঠিক তাফসীর(১)ঃ
এক হাদিসে বর্নিত হয়েছে যে,নবীগন অর্থে মহানবী(সাঃ),সত্যবাদীগন অর্থে হজরত আলী(আঃ),শহীদগন বলতে ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন(আঃ),সতকর্ম্পরায়ন অর্থে অবশিষ্ট ইমামগণকে বুঝান হয়েছে।আর এটা অনুমতির অনেক নিকটবর্তীও বটে।কেননা,’নাবিয়্যিন’এর উদ্দেশ্য যে মহানবী(সাঃ) তা ষ্পষ্ট,এ ব্যাপারে কারো দ্বীমত নেই।‘সিদ্দিকীন’ এর উদ্দেশ্য হজরত আলী(আঃ)।কেননা ‘সিদ্দিক’ শব্দের অর্থ যদি সত্যায়নকারী ধরা হয় তবে ইতিহাসসমুহ থেকে প্রমানিত হয় যে,রাসুল(সাঃ)এর নবুওতের সর্বপ্রথম সত্যায়নকারী তিনিই।আর যদি সত্যবাদী অর্থ গ্রহন করা হয় তবুও তিনি ছাড়া অপর কেউ তাঁর দাবীদার হতে পারে না।কারন,অন্য কোন সাহাবীর মধ্যে এই বৈশিষ্ট ছিল না।কারন,তারা ২৮ থেকে ৩৮ বছর পর্যন্ত মুর্তির সামনে মাথা নত করেছেন ও শিরক করেছেন।পক্ষান্তরে হজরত আলী(আঃ) কখনও মুর্তির সামনে মাথা নত করেননি এবং সবসময় আল্লাহর একত্বের ঘোষনায় সত্যবাদী ছিলেন।আর ইমাম ২ ভাই ( ইমাম হসান ও ইমাম হুসাইন)আল্লাহর পথে শহীদ হওয়াও ষ্পষ্ট এবং ‘সালেহীন’ বলতে অবশিষ্ট ইমামগন উদ্দেশ্য হওয়াতে কোন মুসলমান সন্দেহ করতে পারে না।কেননা সালেহীন বলতে সৎ কর্মের ক্ষেত্রে পুর্নতম ব্যাক্তিদেরকে বুঝান হয়।আর ে বিষয়টি ষ্পষ্ট যে,প্রতি যুগে নবী বংশের পবিত্র ইমামগন সতকর্ম,পরহেজগারিতা ও অন্য বৈশিষ্টে অন্য সকলের চেয়ে শ্রেষ্ট ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৭