সিদ্দিকাতুল কুবরা ফাতেমা যাহরা(সাআ)কে যখন তাঁর শ্রদ্বেয় পিতা প্রসিদ্ব সেই তসবিহ শিক্ষা দেন(৩৪ বার আল্লাহ আকবার,৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩বার সুবহানআল্লাহ) যা সাধারনত ফরজ নামাজ সমুহের পর অথবা ঘুমানোর আগে পড়া হয়ে থাকে,তখন তিনি তাঁর শ্রদ্বেয় পিতার চাচা হযরত হামযা(রাঃ)-এর মাযারের পাশে যান সেখান থেকে মাটি নিয়ে একটি তসবিহ তৈরি করেন।এর অর্থ কি হতে পারে কল্পনা করতে পারেন কি?শহীদের কবরের মাটি পবিত্র ও সম্মানিত।তার কবর সম্মানিত।আমি যদি আল্লাহর এবাদাতের জন্য তসবিহ পাঠ করতে চাই সে তসবিহটি যেখান থেকেই প্রস্তুতকৃত হোক না কেন অসুবিধা নেই,চাই তা পাথর হোক বা অন্য কিছু থেকে, বা মাটি থেকে।এই মাটি যে কোন জায়গা থেকেই নেয়া হোক না কেন অসুবিধা নেই।তবে এই মাটি হওয়া উচিত কোন শহীদের মাযারের মাটি থেকে এবং এটা শাহাদাত ও শহীদের প্রতি এক প্রকার সম্মানসুলভ আচরন।এটা এক প্রকার আনুষ্টানিক সম্মান প্রদর্শন।আর একারনেই যখন ইমাম হুসাইন(আঃ) শহীদ হন তখন আমির হামজার “সাইয়েদুশ শুহাদা” উপাধিটি ইমাম হুসাইনকে(আঃ) দেয়া হয় যিনি আমির হামযারই শ্রদ্বাভাজন ভায়ের বঙ্গশধর বা সন্তান।এর পর থেকে যারাই শহীদদের কবর থেকে তাবাররোক হিসাবে মাটি সংগ্রহ করত চেয়েছে তারাই ইমাম হুসাইনের(আঃ) কবরের মাটি সংগ্রহ করত।আমরা যখন নামাজে দাড়াব,সেজদা করতে যাব তখন আমাদের উচিত না কার্পেট ও খাদ্য-দ্রব্য বা পরিধেয় বস্ত্রের উপর সেজদা করা(এটি করা জায়েজ নয়),তাই আমাদের উচিত পবিত্র মাটি বা পাথরের টুকরা বহন করা।আমাদের মাযহাবের(জাফরী মাযহাব) প্রবক্তা ও ইমামগন বলেছেন যে,অবশ্যই মাটিতে বা মাটি থেকে উৎপাদিত বস্তু যা খাদ্যদ্রব্য বা পরিধেয় বস্ত্র নয়,তার উপর সেজদা করতে হবে এবং যদি সেই মাটী শহীদের মাযারের মাটি হয়,তা বিশেষত যদি কারবালার ইমাম হুসাইনের(আঃ) কবরের মাটি হয় তাহলে সর্বোত্তম হবে।
ইমাম আস-সাদিক্ব(আঃ) বলেনঃ
“ সেজদা দাও আমার প্রপিতা হুসাইন ইবনে আলী(আঃ)-এর মাটির উপর।তখন দেখতে পাবে সেখানে দেয়া সেজদা(আল্লাহর আরশের) সাতটি পর্দা ভেদ করে তোমাকে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।অর্থাত শহীদের মুল্য অনুধাবন কর,তার কবরের মাটি তোমার নামাজের মুল্য বাড়িয়ে দেবে।“( শহীদ মুতাহহারির বালা ও বেলায়েতসমুহ,পাতা-১২৬-১২৮)।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮