** আহলে বায়েত(আঃ)-এর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-পবিত্রতাঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-
রাসুল(সাঃ) বলেনঃ মহান আল্লাহ মানুষকে ২টি দলে ভাগ করে আমাদেরকে শ্রেষ্টটির মধ্যে রেখেছেন-কারন তিনি ‘আসহাবুল ইয়ামিন’(ডান হাতের সাথীরা ) ও ‘আসহাবুল শিমাল’(বাম হাতের সাথীরা) বলে উল্লেখ করেছেন।আমি ‘আসহাবুল ইয়ামিন’-এর মধ্যে আছি এবং তাদের মাঝে শ্রেষ্টজন।এরপর আল্লাহ এ ২টি দলকে ৩টি করে ভাগ করেছেন এবং আমাকে ৩টির মধ্যে শ্রেষ্ট অংশটিতে রেখেছেন এ কথার মাধ্যমেঃ ‘ডান হাতের সাথীরা’(আসহাবুল ইয়ামিন’) এবং ‘(বিশ্বাসে)অগ্রবর্তীদের মধ্যে অগ্রবর্তী’(সুরা ওয়াকিয়াহঃ২৭,৪১,৮,১০)(আস-সাবিকুনাস সাবিকুন)।আমি অগ্রবর্তীদের মধ্যে আছি এবং তাদের মধ্যে শ্রেষ্ট জন।এরপর আল্লাহ এদেরকে আরো ৩টি ভাগে ভাগ করেছেন এবং আমাকে শ্রেষ্ট গোত্রে রেখেছেন; এবং এভাবেই মহান আল্লাহ বলেছেনঃ ‘এবং তোমাদেরকে বানিয়েছিলাম জাতিসমুহ ও গোত্রসমুহে যেন তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার।নিশ্চয়ই আল্লাহর দৃষ্টিতে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন ঐ ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী সতর্ক(মুত্তাক্বী)।নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞাত,সর্বসচেতন।(সুরা হুজুরাত-১৩)।আর আমি হলাম আদমের সন্তানদের মাঝে আল্লাহ সম্পর্কে সবচেয়ে সতর্ক(মুত্তাক্বী) এবং আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন-কোন আত্নগর্ব ছাড়াই।এরপর আল্লাহ গোত্র গুলোকে ঘর বানিয়েছেন এবং আমাকে শ্রেষ্ট ঘরটিতে রেখেছেন; এবং এটিই মহান আল্লাহ বলেছেনঃ”নিশ্চয়ই আল্লাহ চান তোমাদের কাছ থেকে সব অপবিত্রতা দূরে রাখতে,হে আহলে বায়েত, এবং তোমাদের পবিত্র করতে চান পরিপুর্ন পবিত্রতায়”।(সুরা আহযাব-৩৩)।সুতরাং আমি ও আমার আহলে বায়েত(পরিবার) গুনাহ থেকে পবিত্র(দালাইলুন নুবুওয়াহ আল-বায়হাক্কী-১/১৭০;আল-বিদায়াহ ওয়া আল-নিহায়াহ-২/২৫৭;তাফসীরে দুররে মানসুর-৬/৬০৫)।·
* ইমাম আলী(আঃ) বলেনঃনিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাসুলের(সাঃ) আনুগত্য করতে আদেশ দিয়েছেন,কেননা তিনি মাসুম(নিষ্পাপ) ও পবিত্র এবং কখনোই তার(আল্লাহর) অবাধ্যতার নির্দেশ দেন না;আর আল্লাহ আদেশ করার দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও (উলিল আমর) আনুগত্য করতে আদেশ দিয়েছেন,কেননা তারাও মাসুম ও পবিত্র এবং কখনোই তার(আল্লাহর) অবাধ্যতার নির্দেশ দেন না”।( আলখিসাল-১৩৯/১৫৮;’ইলালুশ শারায়ী-১২৩;কিতাবে সুলায়িম বিন ক্বায়েস-২/৮৮৪৮৫৪)।·
* ইমাম রেযা(আঃ) বলেনঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ ইব্রাহীম খলীল(আঃ)কে নবুওয়ত ও বন্ধ্বুত্বের( খলীল) পর মর্যাদার ৩য় স্তর হিসাবে ইমামাত দিয়েছেন;তাকে বিশেষ শ্রেষ্টত্বের মাধ্যমে উচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন এবং তাঁর স্মরণকে প্রতিষ্টিত করে বলেছেনঃ “আমি তোমাকে মানবজাতীর ইমাম বানিয়ে দিচ্ছি”।ইব্রাহীম(আঃ) আনন্দিত হয়ে বললেনঃ”আর আমার বংশধর থেকেও”?মহান ও সুউচ্চ আল্লাহ জবাব দিলেনঃ”আমার অঙ্গীকার জালিমদের কাছে পৌছায় না”।(সুরা বাক্বারাহ-১২৪)।এভাবে,এ আয়াতে কিয়ামাত পর্যন্ত জালিমদের ইমামাতকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং এটি কেবল বাছাইকৃত দেওয়া হবে।তারপর আল্লাহ তাকে সম্মানিত করলেন তাঁর পবিত্র ও বাছাইকৃত বংশধরদের মাঝে ইমামাতকে নির্ধারন করে,আর বললেনঃ “এবং আমি তাকে দিয়েছিলাম ইসহাককে, এবং ইয়াকুবকেও নাতি হিসাবে, এবং তাদের প্রত্যেককে বানিয়েছিলাম ন্যায়নিষ্ট।আমরা তাদেরকে ইমাম বানিয়েছিলাম আমাদের আদেশে পথ দেখিয়ে, এবং আমরা তাদের কাছে ওহী করেছিলাম-ভাল কাজগুলো করা,নামাজসমুহ বজায় রাখা ও যাকাত দেওয়ার বিষয়ে;আর তাঁরা আমাদেরই ইবাদাত করতো”।(সুরা আম্বিয়া-৭২-৭৩;আল-কাফী-১/১৯৯/১;আমালী আস-সাদুক্ব-৫৩৭/১;উয়ুনে আখবার আর-রিদা(আঃ)-১/২১৭/১)।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৮