২০০৬ সাসসালের মাঝামাঝি থেকে উইকিপিডিয়ায় কাজ করার সুবাদে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের একজন গর্বিত কেন্দ্রীয় সদস্য হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। সোজা কথায়, কম্পিউটারকে বাংলাদেশের মানুষের উপকারে কাজে লাগানোর জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন বিডিওএসএনের সদস্যরা। আমাদের এই সংগঠনটি সেচ্ছাসেবীমূলক হওয়ায় আর এর সদস্যরাও যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ায় উপভোগ করেছি বিডিওএসএন এ থাকার প্রতিটি মুহূর্ত। তবে দু'দিন আগে যে অদ্ভূত আনন্দের স্মৃতি আমার ডায়েরিতে যুক্ত হয়েছে তা এক কথায় অসাধারণ! আর এই দারুণ ভালোলাগার সময়টি ছিল আমাদের অনুষ্ঠান “সফ্ট ওয়্যারের স্বাধীনতা ও মুক্ত তথ্যভাণ্ডার” শীর্ষক অনুষ্ঠানকে ঘিরেই!
আমাদের সাধের সীমা পরিসীমা না থাকলেও সাধ্য যে খুব একটা বেশি না তা বলাই বাহুল্য। আর তাই এক অনুষ্ঠানের ভিতরে অনেক কিছু করে নেওয়ার সুযোগটা আমরা বলতে গেলে লুফেই নিয়েছিলাম। আমাদের অনুষ্ঠানে মূলত চারটি জিনিষ ছিল:
১. লিনাক্স ঘরানার জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম [link|উবুণ্তুর] নতুন সংস্করণ “হার্ডি হেরন” বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেওয়া। এর মূল উদ্দেশ্য চোরাই সফ্টওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার না করেও কম্পিউটার প্রযুক্তির উত্কর্ষ গ্রহণ করা ও উন্নয়নে অবদান রাখা।
২. উইকিপিডিয়ার সহোদর প্রকল্প উইকিসোর্সকে উইকিসোর্সকে সমৃদ্ধ করার জন্য খ্যাতিমান লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটি বই মুক্ত লাইসেন্সের অধীনে গ্রহণ করা।
৩. বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময়ে তোলা আলোকচিত্রী ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের ছবি http://commons.wikimedia.org/wiki/Categoryhotos_by_Rafiqul_Islam উইকিপিডিয়ায় গ্রহণ করা।
৪. বিডিওসএনের নতুন অনলাইন পত্রিকা মুক্ত বার্তার মুক্ত বার্তার প্রথম সংস্করণ প্রকাশ।
আমরা মূলত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফ্টওয়্যার ও তথ্যের ব্যাপারে আমাদের ভাবনাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি ভাবছিলাম রফিকুল ইসলাম স্যারের ভাষা আন্দোলনের ছবি প্রদান দেখে অনেকে হয়ত মুক্তিযুদ্ধের ছবি নিয়েও আমাদের কাছে এগিয়ে আসবেন, আর অনুষ্ঠানটি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে তাই এই ব্যাপারটা তাঁদের কাছেও তুলে ধরার একটা প্রয়াস মনে করেছিলাম আমি। তবে বাস্তব সেই কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল অনুষ্ঠানের দিন। অনুষ্ঠানের সাফল্যের পাশাপাশি এর পেছনের উদ্দেশ্যগুলোও সফল হয়ে গিয়েছিল ঐদিনই।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০০৮ রাত ১:৪১