মাধ্যমিক পাশ করার পর সবাই চায় একটি ভালো কলেজে ভর্তি হতে।
সেক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হয় সরকারী কলেজ বা জেলা শহরের শীর্ষস্থানীয় কলেজ।
কিন্তু এসব কলেজ গুলোতে যে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা রয়েছে তা ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় অপ্রতুল।
আর কলেজ গুলোতে কোটা প্রথা তো আর আছেই!
তাই অনেকেই কলেজ নির্বাচনে হিমশিম খায় এবং একসময় ভূল সিদ্ধান্ত নিতে হয়!
আজকাল ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্রাইভেট কলেজ।
বাসা- বাড়ি বা আবাসিক যেখোনো জায়গায় তারা তাদের ক্যাম্পাস গড়ে নেয়।
আর এসএসসি এক্সাম শেষ হবার পরপরই শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের দেয় লোভনীয় প্রস্তাব!
বর্তমানে যেমন দিচ্ছে অনলাইনে ভর্তি আবেদন ফ্রী, আর কোন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয়না এমন ডায়লগ তো আর আছেই!
কিন্তু ভর্তি হবার পর পরই শুরু হয় অন্য চিত্র,
এসব কলেজকে কসাইকে ও হার মানায়,
পড়ালেখার মান তো খারাফই সেই সাথে আছে রমরমা টিউশন বাণিজ্য!
একটি শিক্ষার্থী এখানে এসে পড়ে ক্লান্ত হবে কি ক্লান্ত হয়ে যাবে টিউশন ফি দিতে দিতে!
শিক্ষার্থী দের উপর অমানবিক নির্যাতন তো আর চলেই
একদিন না আসলে এতো জরিমানা আরেকদিন না আসলে আরো তত জরিমানা!
সবশেষে আসি রেজাল্টের বেলায়,
ওরা এতো এতো কড়াকড়ি করে কিন্তু রেজাল্টের বেলায় সেই টেনেটুনে পাশ
শিক্ষার্থী কম থাকায় তাই ওরা বুক ফুলিয়ে বলে শত ভাগ সাফল্যের কথা!
তাই শিক্ষার্থী বন্ধুরা কলেজ নির্বাচনে ভূল করবেন না
তাই কলেজে ভর্তি আবেদনের পূর্বে অবশ্যই সবার আগে কলেজের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে নিবেন।
এমন ও কলেজ আছে যারা মাত্র ১জন টিচার দিয়ে সব কটি সাব্জেক্ট চালিয়ে দেয়!
তাই কলেজ নির্বাচনে নয় ভূল প্রয়োজনে ভেবে চিন্তে ডিশিসন নিন।
বিঃদ্রঃ আমার এই স্ট্যাটাস সকল প্রাইভেট কলেজ গুলোর বিরুদ্ধে নয় শুধুমাত্র তথাকথিত রক্তচোষা কলেজ গুলোর জন্য প্রযোজ্য।