আমরা খুব সহজেই
অতীতকে ভুলে যাই।
কিছু দিন আগে
মাওলানা ফরিদ
উদ্দিন মাসউদ
সাহেবের একটা
ইন্টারভিউ বের হল
আর আমরা সবাই
তার পেছনের
ইতিহাস ভুলে তাকে
মাথায় তুলে নাচা শুরু
করলাম।ভুলে গেলাম
শাহবাগীদের প্রতি
তার অবদানের কথা।
ঠিক তেমনি আজকে
যখন শুনলাম সৌদি
আরব সিরিয়া
আক্রমনের জন্য
তাদের
জঙ্গিবিমানগুলো
তুরস্কতে পাঠালো
এবং এই বিষয়ে
একটা জোটও গঠন
করে ফেলল তখন
আমরা সব অতীত
ভুলে গেলাম। একটা
জিনিস কেন
আমাদের মাথায়
আসল না?২০১১
সালের আরব
বসন্তের পর যখন
সিরিয়ায় নরপশু
বাশার আল আসাদের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা
অস্ত্র ধরল আর এর
সূত্র ধরে হাজারো
নিরীহ সিরিয়ার
মানুষকে যখন বাশার
আল আসাদ হত্যা
করল তখন সৌদি
আরব কোথায় ছিল?
এখন বুঝি
উপরওয়ালা থেকে
আদেশ আসছে।সেই
উপরওয়ালাটা
নিশ্চয় আমেরিকা।
আমাকে একটা সহজ
বিষয় বোঝান।বাশার
আল আসাদ অথবা
রাশিয়া নিশ্চই
আমেরিকার বন্ধু না।
তাহলে রাশিয়ার
সহযোগীতায় বাশার
আল আসাদ যখন
একের পর এক
সিরিয়ার শহর দখল
করতাছে তখনও
আমেরিকার মাথায়
কেন কোনো চিন্তা
নাই।কীভাবে তারা
যুদ্ধবিরতিতে
সম্মত হয়?তার মানে
তারা ব্যবস্থা করে
রাখছে। সৌদি
আরবকে পাঠালো
যুদ্ধের ময়দানে।
সৌদি আরব হারলে
তো আমেরিকার
কোনো লস নাই কারণ
ক্ষয়ক্ষতি সব
মুসলমানদের
হবে,আর জিতলে তো
আরো ভালো হবে।
অনেকটা
আফগানিস্তান
যুদ্ধের মত। লড়াই
করল মুজাহিদরা,
তারা সোভিয়েত
ইউনিয়নকে মাটির
সাথে মিশাইয়া দিল।
আর এর জন্য তারা
তাদের পরিবারকে
হারাইল,কেউ হইল
পঙ্গু বা কেউ হইল
দেশছাড়া।কিন্তু
ফলাফল কী?
মুজাহিদরা হারাইল
রাশিয়ানদের,কিন্তু
প্রকৃতপক্ষে জিতল
আমেরিকা।আবারও
সেই খেলা শুরু।সৌদি
আরবের বাহিনী
মারা গেলে কিংবা
তাদের বিমান ধ্বংস
হলে তো আমেরিকার
কোনো ক্ষতি না।
বরং এ সুযোগে যদি
রাশিয়ার দুই একটা
সেনা বা বিমান
ধ্বংস হয় তাহলে তো
আমেরিকারই লাভ।
অথচ মুসলমানরা না
বুঝাইয়া
লাফাইতাছে।এই
নির্বুদ্ধিতার শেষ
কোন দিন হবে তা
আল্লাহই ভালো
জানেন।