somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক দুঃস্বপ্নের রাত।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন ছিল বুধ বার । টিচারের কাছে আগামী দিন পরীক্ষা ছিল। রাতে সবার সাথে খাবার খেয়ে কেবল মাত্র আবার বই নিয়ে বসেছি, ঠিক এমনই সময় মা বাইরে থেকে চিৎকার করে উঠল। আমি দৌড়ে বাইরে এলাম। মা কে জিজ্ঞাসা করলাম , কি ব্যাপার মা?
মা দৌড়ে দোতালায় যেতে যেতে যা বল্ল সেটা হল, উপরতলার আন্টি গলায় দড়ি দিয়েছে। আমিও মা‌‌র সাথে দৌড়ে দোতলায় গেলাম। দেখি আংকেল (৪৭ বছর বয়ষ) বারান্দার রুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে কাঁপছে। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। আমি নিচে দৌডে এসে শাবল নিয়ে আবার উপরে গেলাম। মা ততক্ষনে দরজা ধরে টানাটানি করছে। আমি মা কে সরিয়ে দিয়ে শাবল দিয়ে চাঁড় দিয়ে দরজা খুলে ফেল্লাম। তখন রাত বেশি না। সবে মাত্র ৯টা বাজে।
ভিতরে ঢুকে দেখি আন্টি (২০ বছর বয়ষ) ফ্যানের সাথে শাড়ি পেচিয়ে শূন্যে ঝুলছে। তার জিহবা বের হয়ে এসেছে। তার শরীর বারবার ঝাকুনি খাচ্ছে। আমি দ্রুত তাকে উচু করে ধরলাম। মা বটি দিয়ে শাড়ি কেটে দিল। সেখানেই তাকে শুয়িয়ে দিলাম। তার শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ। কৃত্তিম শ্বাস দিলাম। কয়েক বার চেষ্ঠার পর তার শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরে এলো।
কিন্তু নতুন সমস্যা সৃষ্টি হল। তার দাত কপাটি লেগে গেল। আমরা যাকে বলি ফিট হয়ে গেল। অনেক কষ্টে তার জ্ঞান ফিরে আসল। ততক্ষনে তার মেয়ে ( তিন মাস বয়ষ) কান্না কাটি করে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছে। আন্টি কাঁনতে কাঁনতে মেয়েকে দুধ খাওয়াতে লাগল।

ততক্ষনে আমি ঘেমে একাকার হযে গেছি। আমি নিচে চলে আসলাম। নিজের রুমে ঢুকে প্রথমে এক গ্লাস পানি খেলাম। তারপর সেয়েটার খুলে ফ্যান চালিয়ে দিলাম। আমার মাথা তখন ঘুরছিল। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম।
কখন ঘুমিয়ে গেছি জানি না। রাতে প্রচন্ড জ্বরে ঘুম ভাংল। পাশের রুমে মা থাকেন। মা কে ডাকলাম। মা এসে দেখেন আমার প্রচন্ড জ্বর। মা যখন মাথায় পানি দিচ্ছিল তখন বেশ ভালো লাগছিল। যখনই একটু ঘুম আসছিল তখনই গলায় শাড়ি পেচানো আন্টিকে দেখছিলাম। কি ভয়ানক তা বলে বোঝাতে পারবনা।
এরকম ভয়ানক রাত আমার জীবনে কখনও দেখিনি। শুধু শুনতাম গলায় দড়ি দেয় লোকে। কখনও দেখিনি। যখন দেখলাম তখন আমার অবস্থা কাহিল। আর জীবনেও দেখতে চাই না।

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪৫
২৬টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×