বেলকনিতে রাখা ফুলগাছটি তার লাবণ্য হারিয়ে ফেলছে
সবুজ পাতাগুলো রঙ হারিয়েছে; শহুরে ধুলোর আক্রমণে
কুয়াশা ও ধুলোর বিদঘুটে শিকল
বন্দি করে নিয়েছে তার সারা অঙ্গ,
নিজ সৌন্দর্য ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হারাতে হারাতে
মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলছে সে প্রতিনিয়ত।
কে তার দিকে দৃষ্টি দেবে, কে তার যত্ন নেবে?
পৃথিবীর সচল চক্রে প্রত্যেকেই যে ঘুরপাক খাচ্ছে দিবানিশি,
নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পাড়া মানুষ কিভাবে যত্ন নেবে অন্যের!
সবই খেলা! কেউ খেলে, কেউ খেলায়।
রেজাল্ট ফাঁস হওয়ার পূর্বে
নিজের কাছে রাখা রেজাল্ট নিজেই জেনে নেয়।
উর্বশী গৃহবধূ ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে
ভোরের আলোতে ফুটা ফুলটিকে তার
মাতৃকুল থেকে ছিনিয়ে আনে, খোঁপে গাঁথে
টিসুতে হাত মুছে, মুখে কৃত্রিম হাসি নিয়ে স্বামীর সামনে দাঁড়ায়,
সকালের এই আধঘণ্টা সময় তাকে কৃত্রিম বেহেস্তি হাসি হাসতে হয়
আর বাদবাকি সময় কাটে রোলারে পিষ্ট হয়ে, নির্মম নির্যাতনে।
তার কি সময় আছে ফুলগাছটির যত্ন নেয়ার?
অনতি দূর থেকে কার্নিভ্যালের আওয়াজ আসে,
তা জানাতে মুঠোফোনে স্বামীকে বিরক্ত করে
মায়াবী সুর থেকে বেরোয়-সেখানে নিয়ে যাওয়ার আবদার।
স্বামী তাকে শাসাতে পারে না, অফিসে কর্কশ বসের উপস্থিতিতে।
স্ত্রী বুঝে নেয়, আজও রোলারে রক্ত ঝরবে।
০৮-০১-২০১৭
ছবিঃ বড় আপু
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫২