"প্রেমিক করে পাঠ প্রেমিকার চোখ, বুঝে তো ছাইপাশ কচু"।
প্লীজ, ভুল বুঝবেন না আমাকে, প্রপঞ্চটি আমার নয় কিংবা
সতর্ককারী প্রেরিত পুরুষের চটকদার পবিত্র বাণীও নয় এটি।
বস্তুতঃ আমরা জানি স্বয়ং ঈশ্বরও নারাজ নারী চরিতপাঠে।
জানি, আপনাদের কৌতুহল হচ্ছে । প্রমিথিউস মশালে জ্বলে উঠা
পাথর নিরেট এ সত্য তবে কার! হিমালয় গুহায় ধ্যানমগ্ন কোন
নাঙ্গা ফকিরের কিংবা এত্ত্বেকাফে বসা কোন নুরানী হুজুরের?
না, তাও নয়। বিশ্বাস করেন, শব্দবোমাটি ফাটিয়েছে এক নারী ।
না, খনা জিহ্বা নেই আমার তরুনী বান্ধবীটির। বরং জ্যোছনামাখা
শব্দেরা খেলা করে তার জিভে। সে চৌকষ, বুদ্ধিমতি এবং শিক্ষিত।
ওর নখদর্পনে আইনস্টাইন, হাইসেনবার্গ, স্টিফান হকিং ভেসে উঠে।
গল্পের মত সে শুনিয়েছিলো একদিন বোস আইনস্টাইন সংখ্যায়ন।
মোটেই রসকষহীন নয় বান্ধবী আমার। কবিতার অলিগলিতে
অবাধ বিচরণ তার। আমি জানি, প্রেমরসে তার চোখেও লাগে ঘোর-
আছে যে তারও এক প্রেমিক কবি। ফাঁকতালে প্রশ্ন করি আমি, 'কবি?
কবি কি পড়তে পারে নারী চোখ?' রহস্য হাসিতে থাকে সে নিরুত্তর ।
কবি পুরোহিত শ্বেতাঙ্গ ওকাম্পোর চোখে চোখ রেখে উঠেছিলো গেয়ে,
'আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশীনি', তবে কি শেষবেলা
ঋদ্ধ কবি পেয়েছিল দিব্য চোখ, করেছিল পাঠ পিঙ্গল চোখ দুটো! ধন্দ লাগে!
'আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তোমারে করেছি রচনা।' ওকাম্পো কি ব্যত্যয়!
সহসা বিদ্যুৎ চমক, আমাকে অবাক করে প্রত্যয়ী বান্ধবী বলে উঠে
'আমিও নারী, আমি জানি আমাদের কথা তোমাদের চেয়ে ঢেঢ় গুণ।
প্রেমিক কখনো বুঝে না প্রেমিকার চোখ। কবিও না'। ফিসফিসিয়ে বলে
সে, 'কামুক পুরুষ এবং কামুক পুরুষই করে নারী চোখ সহীহ পাঠ।'