প্রতিনিয়ত পণ্য কিনে আমরা ঠকছি , কিন্তু আর কতদিন ? আসেন এ জুলুম থেকে শর্টকাটে কেমনে মুক্তি মিলে আজ তার পথ দেখাই ।
গার্লফ্রেন্ড নিয়া হেব্বি মাঞ্জা লইয়া খাইতে গেলেন সেইরাম কোন রেস্টুরেন্টে ।ইচ্ছামত খাইলেন , সেলফি তুললেন ,দামি রেস্টুরেন্টের চেক ইন ও দিলেন ভাব দেখাইয়া যে আজকে বাংলার নবাব আমি । সব কিছু শেষ কইরা যখন বিল দিলেন ৩০০ টাকার সুপ ৮০০ টাকা ২০০ টাকার বিফ চিলি ১২০০ টেকা , ৩০০ টাকার ফ্রাইড রাইছ ৭০০ টেহা সবই দিলেন ব্যাপার না দামি জায়গায় খাইলে এমন ই হয় , কিন্তু যখন দেখলেন ৩০ টাকার কোকের দাম রাখছে ১৫০ টেহা বা ২০ টেহার পানির বোতলের দাম রাখছে ৮০ টেহা তখন মেজাজটা আপনাদের কেমন লাগে আমি জানি না আমার তো মনডায় কয় ম্যানেজারের কানপট্টি বরারব ননস্টপ থাবড়াই ।
মাথা গরম কইরেন না থামেন !!!
যখন দেখবেন ২০ টেহার পানি ৮০টেহা বা ৩০ টেহার কোক ১৫০ টেহা তখন খুশিতে আরও দুটা কোকের অর্ডার দিয়া খাইয়া বিলটা লইয়া নিশিন্তে বাড়ি যান। খাওয়ার টাকা রেস্টুরেন্টের মালিক তো আপনারে দিবই আরো হাতে হাতে পায়ে ধইরা মাপ ও চাইব ।
ক্যামনে কি ???আসেন সিক্রেট বলি ...
কেউ যদি পণ্যের গায়ে লিখা দামের চেয়ে বেশি দাম নিয়ে আপনাকে ঠকিয়ে থাকে তবে কোন দিকে না তাকায়া আপনি অভিযোগ করতে পারেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে । এ অধিদপ্তর থেকে আপনি পাবেন সবরকমের সহযোগীতা । ফেরত পাবেন আপনার কাছ থেকে নেওয়া পণ্যের অতিরিক্ত এবং আপনাকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করার ক্ষতিপূরণ । আমার এক দোস্তের পরামর্শে আমি অভিযোগ করি একটি নামকরা চাইনিজ রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে। তারা এক লিটার পানির বোতলের দাম রেখেছিল ২৫ টাকা যার প্রকৃত মূল্য ২০ টাকা । মামলার শুনানিতে জয় হয় ভোক্তাদের ই ।
প্রমাণ চান ...?
তাহলে নিচের ছবিগুলোতে রিসিটটা দেখুন...প্রমাণ দিলাম । আমি নিজে ক্ষতিপূরণ পেয়েছি ।
তো আর দেরি কেন আপনার কষ্টের টাকা যারা জুলুম করে নিচ্ছে প্রতিবাদ করুন তাদের বিরুদ্ধে।
পাঠিয়ে দিন অভিযোগ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের । তারজন্য কিন্তু আপনাকে ডাকে চিঠি পাঠানোর কোন দরকার নেই তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখবেন আপনার জন্য সব রেডি , শুধু অভিযোগ লিখবেন আর বিলের কপি দিবেন ব্যাস বাকি কাজ তাদের ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫১