বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রফিক। রাত তিনটা, এভাবেই বাকি রাতটাও কাটিয়ে দিবে বলে ভাবছে সে। তার চোখে মুখে স্পষ্ট ঘুমের ছাপ, মাথাটা ভারি হয়ে আছে, ঘুম তাড়ানোর জন্যে ছয়-সাতবার চা খেয়ে ফেলেছে, শেষ চা খাওয়াটাও প্রায় আধঘন্টার মত হয়ে গিয়েছে। ঘুম আবারও একটু একটু করে কাবু করে ফেলতে চাইছে তাকে, আবার চা না খেলেই নয়। সমস্যা হচ্ছে, এই মধ্যরাতে দোকানপাট তেমন খোলা নেই। হাসপাতালের ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই এগারোটায়, শেষবার চা খেয়েছে ভাসমান চা ওয়ালাদের কাছে, বিস্বাদ ঠান্ডা চা। এবারও খুঁজে পেতে হবে এমন কাউকে, গেটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যায়।
অনেকদিন সে ওলির খবর পায় না, তাই সন্ধ্যার দিকে লিপির সাথে দেখা করতে এসেছিল কার্জন হলের দিকে। ওরা বিকেল-সন্ধ্যা ওখানেই আড্ডা মারে, কিন্তু আজ কাউকে না পেয়ে ফেরত যাচ্ছিল। হঠাৎ ওদেরই এক বান্ধবীর সাথে দেখা হলে, লিপির কথা জিজ্ঞেস করতেই জানতে পারে যে তাকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে, অবস্থা আশঙ্কাজনক। অসুস্থতার কারন জিজ্ঞেস করতেই যে উত্তর পাওয়া গেল তা অবাকই করল তাকে। লিপি ড্রাগ নিত? কেন? ওর স্বাস্থ্য তো ভালই, বোঝা যায় না যে ও ড্রাগ নিত। তারপর থেকেই রফিক শুধু এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে….