পূবালী কোণে সূর্য চিক চিক,
ঝলসে ওঠে রোদঅালোয় ইয়েমেনি থালা।
পুরনো তন্তুর ব্যর্থ রাক ঢাকে উঁকি দেয়া
তরুণী মায়ের পাঁজর ;
কোলে জাপ্টে চিৎকারে ঐ উত্তরাধিকার!
যেন বলছে নিমন্ত্রণ হে ধরা ঠিকানা মোর অস্থির মালা।
উপকুলের বালুতটে অভিমানী রিক্ত অায়লান
বারুদে বাতাস জানান দেয় সিরিয় চিলেকোঠায়,
কঙ্ক্রীট কংকালে অাজ কিসের শুন্যতা?
রাজকীয় পাদটিকা অাজ অন্তহীন অপেক্ষায়।
এক পায়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে খোঁড়া রাজকুমার,
ছিন্ন করো যদি পারো দিয়ে সে লৌহ-পিতল।
জেরুজালেমের অন্ধ কুঠুরির সে ষোড়শি,
দাঁড়িয়ে ঠায় ভেজা হাতে রক্ত শীতল!
মধ্যরাতের অগ্নিদেবের প্রেমের চুম্বন,
ছেয়ে যাওয়া ধোঁয়াশায় ঢাকা লোহিত অারাকান।
মুক্ত বিহঙ্গের উচ্ছলা অাজ শায়িত নিথর!
দু পেয়ো পশুর যৌবনে ভেজা রক্ত স্নান।
শুকিয়ে ঝরা পরে পর পর অাজ কাশ্মীরি গোলাপ,
ঝাঁজরা বক্ষে বয়ে চলা প্রৌঢ়ার অসমাপ্ত বিলাপ।
লাওহে মাহফুজে অায়লানদের অাজ অন্নসেবা,
মেজবানিতে সদা ব্যস্ত মহাক্ষমতাধর "রহমান" ।
অাসমানি দুত ক্লান্তিতে পরিশ্রান্ত বেশ,
সব বলে দেয়া শাহজাদীর কে ভাঙাবে মান?
অাসমানি ঐ ইহতিমামে অাসনে "কাহ্হার"!
দন্ডায়মান অাসমানি দূত ভেবে কি হবে এবার?
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পরে এলো তাবৎ শক্তিধর,
অজানা কোনো গন্তব্য পতিত অতল গহবর!
নাহি নিস্তার শুধু বিস্তার শংকায় শঙ্কিত শক্তি,
না জানি সব বলে দেয়া রায়ে অাটকে সকল মুক্তি!
হে পরোয়ার!! মিশিয়ে দাও যদি শত সহশ্র জনপদ,
কেমনে ফিরিবো তাওবার দুয়ারে যদি না হয় কোনো রদ!
সব বলে দেয়া নালিশে হে রব, অামিও সম অপরাধী!
দূর্বল ইমানে সরব হইব ক্ষমা করে দাও যদি।
কাশ্মীরি গোলাপ ফুটবে অাবার অাসবে সিরিয় সুবাস,
ইয়েমেনি থালা পুর্ণ হবে বারুদ মুক্ত অাকাশ।
পুব পশ্চিম এক করে দাও মুক্ত পুঁজিবাদ,
দখিনা হাওয়ায় যেনো শুনি নব পান্জেরীর সংবাদ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৩