নিঝুম রাতের আলোয় নিয়ন বাতির ছোঁয়ায় ,
আলতো করে মেখে দিলাম জোনাক আলোর জল ।।
ঘুমিয়ে যখন রাতের চাঁদ; নিকষ কালো আঁধার
আজ যে কেমন হাওয়ায় মিশে ভিজে চুলের ঘ্রাণ ।।
ওরে ও দীঘলকেশি ?? ইকটু শুনে যাও ,কালের শেষে খেয়া ঘাটে যদি আমায় না পাও!!
মাঝে সাঝে মাখো মাখো শ্যাম মুখের হাসি
বড্ড বেশি লাগছে মনে মুক্তো রাশি রাশি ।।
ক্ষণিক আলোয় কি যে তুমি ! আহা ভেজা ঠোঁট,
ঝাপটা চুলের জলকেলিতে ভাসিয়ে খরা স্রোত ।
ওরে ও শ্যামা মেয়ে ? ইকটু শুনে যাও ,কালের শেষে খেয়া ঘাটে যদি আমায় না পাও!!
ভোরের আলোয় র্সূয দেবের আগুন নিমন্ত্রণ ,
বেশ ত চোখের ঝলক এবার দাও ক্ষমা দাও ।
শ্যাওলা কোনে জলের কণায় হীরে মরিচিকা!
লাল ইটের বাঁকে বাঁকে মু্খের অযুত আঁকা ।।
ওরে ও অগ্নি দেবি ? ইকটু শুনে যাও ,কালের শেষে খেয়া ঘাটে যদি আমায় না পাও!!
ইষৎ করে হাত বাড়ালাম আটকে চৌদ্দ শিক ,
তোমার পরশ ধাতুর ছোঁয়ায় খানিক দিক বিদিক !!
পদ্মাও নয় মেঘনাও নয় গণিতের নব্বই
বোকা মেয়ে !! এটাই আমার দিনের শেষে রাতের বাসর ঘর ।
ওরে ও লাজুক লতা ? ইকটু শুনে যাও ,কালের শেষে খেয়া ঘাটে যদি আমায় না পাও!!
আজ রাতে এ চিলে কোঠায় তোমার দেখা পাবো ;
শ্বেত শাড়ির আঁচল মেলে ইকটু ছুঁয়ে যাবো !!
কাটেনা প্রহর প্রস্তুত আমি, এত আলোর আতশ বিচ্ছুরণ !!
আজ রাতে এই জোনাক আলোয় যেন তোমার অালিঙ্গন।
খেয়া ঘাটের তরী বেয়ে নিথর দেহে চলা,
দ্বিতীয় নয় প্রথমবারের সে কথাটি অাজ যদি হয় বলা।
দেখো , চেয়ে দেখো না আমায় জল নেই চোখে আজ ,
মাটির ঘরে এত আঁধার ??এ যে তোমার কাজল সাজ !
কতদিন পর আমার পাখির ঠোঁটের পানে চেয়ে
ওরে ও বিধাতা !! ধন্যবাদ, সবকিছু আজ পেয়ে ।।
নেই যে কোথাও চিলে কোঠা ,নেই যে নব্বই সেল !
বাজবে না আর নিয়ম মতো লোহার কোনো বেল ।
ওরে ও আমার প্রীয়তমা ?ও রাঙা সোনা বউ ? আজ যে চির ছুটির দিন ভাসিয়ে খেয়া নাও !!
****হোক না কয়েদি,হোক না নাইনটি সেলের বাসিন্দা! হোক না ফাঁসীর অাসামি! হোক না মৃত্যু পথ যাত্রী!!
ভালবাসার রূপ কিন্তু একটাই পবিত্রতা, রং একটাই গোলাপি!! প্রকৃতি একটাই মৃত্যুন্জয়ী!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩২