ইকটু আগে দেখলাম যমুনা টিভিতে মানারাত ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরী নিয়ে । ইউজিসি কম্মকর্তা দের সেকি হতাশা !!! কারন লাইব্রেরীতে আপত্তিকর বই (মানে ধর্মীয় বই) পাওয়া গিয়েছে ।। বই গুলোর ভিডিওতে দেখা গেল রিয়াদুস সালেহিন নামে হাদিস সংকলন !!
এবার আসি রিয়াদুস সালেহীন নামে হাদিস গ্রন্থ নিয়ে । রিয়াদুস সালেহিন হল সহিহ হাদিসের একটি সংকলন যা ইসলামি ফাউন্ডেশন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে স্বীকৃত । যে হাদিস নামে কোন গ্রন্থ পড়েছেন তার রিয়াদুস সালেহিন গ্রন্থ টি অতি পরিচিত একটি গ্রন্থ ।।
এখন প্রশ্ন হল যদি বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরঅানের খন্ড এবং বুখারি শরীফের পান্ডুলিপি সংগ্রহ থাকে তবে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদিসের গ্রন্থ থাকলে কি এমন ”বাল” ছিড়া যায় শুনি ??? একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ ,ইসলামিক হিস্ট্রি, এরাবিক লিটারেচার এ সমস্ত বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সংিশ্লিষ্ট গ্রন্থ হিসেবে আলকুরঅান, হাদিস ইত্যাদি অধ্যয়ন এবং গ্রন্থগারে তা সংগ্রহ থাকা স্বাভাবিক বিষয় !!! এটা ক্যামেরায় কোড করে আপত্তিকর ভাবে দেখানোর মানে কি?????
একদিকে বলবেন র্ধ মীয় শিক্ষা দেয়ার জন্য সবাইকে আহবান করবেন আর অন্য দিকে সেই শিক্ষা উপকরন হাদিস কোরআন কে কোড করে দাঁত কেলাবেন !!!
একদিকে বলবেন “এইডস থেকে বাচুন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন” ,,,আর অন্যদিকে রায় দিবেন ধর্মের বিষয়ে বাবা-মা কোনো শাসন করতে পারবেনা “
একদিকে বলবেন “আলেম সমাজ যেন ধর্মের সঠিক শিক্ষা দেয় আর অন্য দিকে লাইব্রেরীতে হাদিস কোরঅান কে অপরাধী বানাবেন ??
* মোদ্দা কথা হল মাথায় যদি ভূত থাকে তবে যতই উকুন নাশক শ্যাম্পু দিন না কেন উকুন আর মরবেনা । বাকা লেজ নিয়ে যদি জন্মেথাকেন তবে ঘুরে ফিরে পিছনের লেজ খান বাঁকাই থাকে ।।সোজা আর হয়না ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১১