সময় টা ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত 12.30 মিনিট। অামি অার শাওন সদরঘাট নৌবন্দরে এসে প্রিন্স অব রাসেল নামের বিলাশ বহুল এক নৌযানে উঠলাম। লঞ্চছাড়ার সাথে সাথেই বুড়িগঙ্গার মৃত্যুযন্ত্রণার উৎকট গন্ধ নাকে এসে পড়ল!! সকল যাত্রীর মত অামারও দম বন্ধ হয়ে যাবার মত অবস্থা। অপেক্ষায় থাকলাম কখন বুড়িগন্গা পার হয়ে পদ্মায় অাসার। চারদিকে ঘন কুয়াশা!! কিচ্ছু দেখা যায়না। অবশ্য বুড়িগঙ্গার চারপাশে দেখারও কিছু নেই।। শাওন নামের বন্ধুকে জাগিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম!! কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ এক ধাক্কায় ধরফর করে জেগে উঠলাম!! বাইরে বের হয়ে দেখলাম চট্টগ্রাম লাইনের এক কার্গো জাহাজের সাথে বেঁধে রাখছে, ,ইকটু পরই অারেকটি তেলের জাহাজ অামাদের লঞ্চের সাথে এনে বেঁধে রাখল!!! সারেংকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ঘন কুয়াশার কারনে যাত্রা বিরতি! যেন অন্য কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য এই কাজ!! যাই হোক ঘোষনা দিলেন ডিঙি নৌকার গতিতেই লঞ্চ চলবে, ,এ ছাড়া উপায় নেই!! যাই হোক ইকটু পরই ডিঙির গতিতেই ৩.৩০ ঘন্টার যায়গায় সারা রাত পার হয়ে সকাল ৭ টায় চাঁদপুর পৌছলাম।। বাইরে বের হয়ে হেটে মোহনার ঘূর্ণাবর্তের কাছে এসে পড়লাম, ,কিন্তু অাসলে কি হবে,কুয়াশায় তো নিজের চেহারাই দেখিনা অার নদী দর্শন তো পরের পরের কথা!! যাই হোক জেলা অফিসের কাজ সেরে অাবার 11.00 টায় রওনা দিলাম।। তবে এখন অার কুয়াশার লেশমাত্র নেই। চারদিকে নৈসর্গিক দৃশ্য অার নদী রাজ মেঘনার উত্তাল রুপ!! অাফসোস করলাম একটা ডিসএলঅার ক্যামেরার!! এ অাফসোসের মধ্যেই সদ্য অাহরিত ইলিশের ছবি তুললাম ভিজিএ মার্কা ক্যামেরায়!!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩