মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার যিকিরকে বুলন্দ করেছি।” (সূরা আলাম নাশরাহ ৪)
কাজেই মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন। সেখানে তাঁর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করা উম্মতের জন্য যে কতটুকু জরুরী, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কেননা আল্লাহ পাক আদেশ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার হাবীব-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ কর।”
আল্লাহ পাক-এর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করার ফযিলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার ছলাত-সালাম পাঠ করেব, আল্লাহ পাক তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন।” (মুসলিম শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আল্লাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার ছলাত (দরূদ শরীফ) পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন এবং তার দশটি গুনাহ্ ক্ষমা করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।” (নাসাঈ শরীফ)
ছলাত-সালাম পাঠ করার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ঐ ব্যক্তিই ক্বিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার প্রতি বেশী বেশী ছলাত (দরূদ শরীফ) পাঠ করবে।” (তিরমিযী শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয়ই দোয়া আকাশ ও যমীনের মধ্যখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। তোমরা রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ না করা পর্যন্ত দোয়া মোটেও উপরে উঠবে না।” (তিরমিযী শরীফ)
আর ইমাম, মুজতাহিদগণ বলেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি জীবনে একবার ছলাত-সালাম পাঠ করা ওয়াজিব। এরপর প্রতিবার হযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক শুনে ছলাত-সালাম পাঠ করা মুস্তাহাব।” (তাফসীরে রহুল বয়ান)
কাজেই শুধুমাত্র ছলাত বা সালাম পাঠ করা মাকরূহ অর্থাৎ ছলাত ও সালাম উভয়টাই পাঠ করতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদেরকে প্রতিটি মুহুর্তে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করার তৌফিক দান করুন। আমিন