Peace Tv Bangla বন্ধের সাজেশান দিয়েছে এক শ্রেনীর আলেম ওলামারা।যারা মাজার পূজারি হিসেবে বেশী পরিচিত।শব-ই-বরাত এ যারা বিরানি প্লাস এক্সট্রা মানি পেয়ে অভ্যস্ত।
উনাদের অভিযোগ পিস টিভি বাংলা শব-ই-বরাতের বিরুদ্ধে বলে যা বহু বছর যাবত এদেশের মানুষ পালন করে আসছে।
তাদের এই অভিযোগ টাই তাদের গুনাহের কারন হবে।কারন হাজার বছর ধরে ধর্মের নাম দিয়ে কিছু পালন করলেই সেটা ইসলামিক হবে এইটা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?
তারা কুরআন হাদীসের কোন রেফারেন্স না দিয়েই বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে থাকেন।তারা আবার ফতোয়া দিতে ওস্তাদ।
কিন্তু পিস টিভি বাংলায় যারা বক্তব্য রাখেন তারা সবাই কুরআন হাদীসের রেফারেন্স ছাড়া কথা বলেন না।আর সেই জন্যেই তারা বেশী গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে।
আর ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
২৪ঘন্টার একটা ইসলামিক চ্যানেল যেখানে কোন প্রকার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না।তারা যদি দেশীয় চ্যানেলের ইসলামিক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলত তাহলেও একটা গ্রহনযোগ্যতা থাকতো।কারন এসব অনুষ্ঠানের মাঝে যে বিজ্ঞাপন গুলো প্রচার হয়,তা ইসলাম মতে হারাম।সে যায় হোক সেটা নিয়েও একটা বিতর্ক হতে পারে।
অনেকেই বলেন,ইসলামিক টিভিও দেখব আবার নেক্সট চ্যানেলে নাচা গানাও দেখব।এটাতো ইসলামে নিষিদ্ধ।অবশ্যই নিষিদ্ধ।তবে ড: জাকির নায়েক স্পষ্টই বলেছেন,যদি আলাদা বর্ডব্যান্ডের মাধ্যমে পিস টিভির দেখার সুযোগ হয় তবে শুধু সেটা দেখুন।ডিশ এন্টেনার মাধ্যমে দেখবেন না।একটা ভালর জন্যে ১০০টা শয়তান ঘরে ঢুকানোর মানে হয় না।
দেশে শত শত অনৈসলামি,অশ্লীল চ্যানেল চলছে,সেগুলো বন্ধ দূরে থাক না দেখার জন্যেও তারা কোনদিন সাজেশান দেয়নি,আর এখন বলছে পিস টিভি বাংলার মতো শ্রেষ্ঠ বাংলা ইসলামিক চ্যানেল বন্ধের জন্যে।
কিন্তু পিস টিভি বাংলা বন্ধ করে দেওয়ার যুক্তি কি?
পুলিশের আইজি এসম্পর্কে একটা সুন্দর কথা বলছেন।উনি বলেছেন,যদি যৌক্তিক কারন দেখাতে পারে তাহলে বন্ধ করা হবে।
আমার জানামতে বাংলাদেশের পুলিশরাও পিসটিভি দেখেন বিশেষ করে ডাঃ জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনেন।তাই যৌক্তিক কারন জানতে চেয়েছেন।
কোন যৌক্তিক কারন আছে বলে মনে করি না।আশা করি সরকারে উচ্চ শিক্ষিত বাহিনীও এরকম অযৌক্তিক দাবি মেনে নিবে না।