নাহ আমি কাউকে গালি দিচ্ছি না।একটা শব্দের বিবর্তনের কথা বলবো।
আমরা আগে ফ্রেন্ড সার্কেলে কথা বলার সময় একজন অন্যজনকে দুষ্টুমি করে শালা বলতাম।
-কিরে শালা ভাব লস? কল রিসিভ করছ না।
এবং এটি আমাদের সিনেমায়ও বন্ধুদের সাথে ঠাট্টার সিনে ব্যবহার করা হত।পশ্চিমবঙ্গে এর ব্যবহার প্রচুর।ওরা অবশ্য শালা বলে না ছালা বলে।
সে যাইহোক ওদের স এ ঝামেলা আছে।
কয়েক বছর ধরে একটি জনপ্রিয় নাটক সিকান্দার বক্স।সিকান্দার চরিত্রে রয়েছেন শক্তিমান অভিনেতা মোশারফ করিম।সিকান্দারের মুদ্রা দোষ হল,ফইন্নি বলা।ফইন্নির ঘরের ফইন্নি।এর শুদ্ধ বাংলা ফকিন্নির ঘরের ফকিন্নি।আমাদের ভদ্র সমাজে এটা মোটামুটি একটা ভয়ংকর গালি।কিন্তু এটা সিকান্দারের মুদ্রা দোষ।সে সবাইকে এটা বলে।
এবং এটি এতই জনপ্রিয় হয় যে,এখন সবাই এটা হরহামেসা ব্যবহার করছে।স্বাভাবিক ভাবেই করছে।
ফ্রেন্ড সার্কেলে এখন মোটামুটি ভাবে সালার বিলুপ্তি ঘটেছে।সবাই ফইন্নি ব্যবহার করছে।
এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে খোঁচা দিল,
-ঐ ফইন্নি খোচা দ্যাছ ক্যারে!!
আমি অনেক নিজের এবং অন্য অনেকের ফ্রেন্ড সার্কেলে এট লক্ষ্য করেছি।
ফইন্নির সাথে আছে ক্যারে(কেন)।
-এরকম করছ ক্যারে।হা হা হা।
এটা মূলত আমাদের নাটকের জনপ্রিয়তা কে প্রকাশ করে।আমাদের সিনেমার ডায়ালগ গুলো অখাদ্য।দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে একই ডায়ালগ ব্যবহার হচ্ছে।এখন আমরা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি সিনেমার কোন দৃশ্যে কোন ডায়ালগ ব্যবহার হবে।
সেখানে আমাদের নাটক গুলো প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।বিশেষ করে মোশারফ করিমের নাটক।একেক নাটকে একেক অভিনয় একেক রূপ দর্শকদের মুগ্ধ করে করছে।
তার অভিনয়ের শক্তিমত্তা শালাকে ফইন্নি বানিয়ে দিল।