এই ব্যলকনির মত সুন্দর জায়গা এই নশ্বর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই।
নিসচুপ, নির্জন, ছায়াছায়া ।
এখানেই জন্মেছিলাম আমি; কোনো এক ঘুঘুডাকা ভোরে
এরপর বহুদিন কেটে গেছে
অবুঝ আমি বুঝতে শিখেছি।
সম্পর্ক, পরিবার, পরিজন , বন্ধু অথবা
আমার সপ্নগুলোকে রঙ্গিন রঙে বুনতে শিখেছি ।
এরপর এলো স্বার্থ , একে একে নিচুতা, হিংসা আর দীর্ঘশ্বাস ।
আমি কাঁদি , আমার সপ্নগুলো কাঁদে
আমার পথের বাঁকে কাদা , আমার পথ আঁকড়ে ধরে।
এই ব্যলকনিটির মতন শান্ত শান্ত এ নশ্বর পৃথিবীতে আর কিছুই নেই।
আমার ক্লান্তিগুলো শুষে নেয়; একে একে
আমি প্রতিবাদ করতে শিখি ; আমি ঘুরে দাড়াই মুখোমুখি !
আমি সত্য, আমি অকপট
আমি তীব্র , আমিই সোচ্চার
আমি মানুষ হয়ে উঠি ।
পথে কণ্টক, ভ্রু রাঙ্গানো
ওরা মানুষের কায়া ; আমায় মানুষ হতে দেবেনা ।
আমি আয়নায় উঁকি দেই; প্রতিদিন একটু একটু করে আমি মানুষ হয়ে উঠি।
আমার ব্যলকনির এই কোনে আমি আজও এসে দাড়াই; হাতটা আগে বাড়াই
এখনও অনেকটা পথ বাকী ; পথে পাথার সমান বাঁধা
আমার ব্যলকনিতে বৃষ্টি ; আমি ভিজি সারাবেলা
পথে হয় তাদের সাথেও দেখা; যারা বাসে আমায় ভালো
সূর্যমুখির হাসি ঠোঁটে হেসে বলে আমায় হাতটি এবার ধরো ।
এ ব্যলকনিতে চাঁদের আলো মেখে
দিনরাত চালাই মনের ঘুড়ি
পাখির মত ডানা দুটি মেলে আকাশ পানে শুধুই উড়াউড়ি ।
ব্যলকনির এই জায়গা খুব ছোট ; কত স্মৃতি রাখা সারি সারি
আশা শুধু আসুক যতই বাঁধা মানুষ হয়েই মরতে যেন পারি ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬