কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শমসেরনগর ডাক বাংলো। শমসেরনগর মৌলভীবাজার জেলাধীন কমলগঞ্জ থানার একটি ছোট শহর। ১৯৭১ সালে এ ডাক বাংলোতে আস্তানা পেতেছিল- পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। আর এখানেই স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ধরে এনে অত্যাচার করা হতো। এখানে একটি পাকুড় (অশ্বত্থ- বট জাতীয়) গাছ আছে। এ গাছে বেঁধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাঙালিদের অমানুসিক অত্যাচার করে স্বাধীনতার স্বপ্ন ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এত অত্যাচারের পরেও বীর বাঙালি তাদের স্বাধীকার আন্দোলনে বিন্দুমাত্র থামিয়ে দেয়নি। অবশেষে অনেক রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়।
লন্ডন প্রবাসী লেখক এডভোকেট মোহাম্মদ ইয়াওর উদ্দিন (সিলেট, হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ, ইনাতগঞ্জ) তাঁর এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনী সংরক্ষণের জন্য গ্রন্থ রচনা করছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক তাঁর রচিত প্রথম বইটি হচ্ছে শমসের নগরের কৃতিসন্তান যিনি ১৯৭১ সালের ৪ঠা মার্চ শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পাকিস্তানী পতাকায় আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুর রহিমের জীবনী ভিক্তিক গ্রন্থ ”বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম” গ্রন্থটির (যে বইটি আমার অরুণালোক প্রকাশনী থেকে খুব শিঘ্রিই বের হতে যাচ্ছে) জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কাজে গত 26/03/2018 তারিখে মৌলভীবাজার ভ্রমণ করি এবং এ ছবিগুলো সংগ্রহ করি।
আমার কাজে সহযোগিতা করেছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমের ছোটভাই আব্দুল আহাদ ফানু ও লেখকের ভাতিজা ইমদাদ ইসলাম সোহেদ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬