বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে ৪৬ বছর অতিবাহিত হল। বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনে যারা যোগ দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়েছেন, অনেকেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আজও যারা বেঁচে আছেন, তারাও হয়তো এক সময় এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাবেন। একটা সময় আমরা আর তাদের দেখতে পাবো না। কিন্তু তাদের সম্পর্কে পড়তে পারবো। আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের সম্পর্কে জানতে পারবে। অথচ এসব বীর সেনানীদের অনেকেরই ব্যক্তিগত জীবনী লেখা হয়নি। ধামরাইতে যারা মুক্তিযোদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন- এ বিষয়ে তাদের অনেকের সাথে আলাপ হয়েছে।আমি খুব শিঘ্রীই তাদের জীবনী সংকলন করতে শুরু করবো।
এ ব্যাপারে আমি ধামরাই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার জনাব আব্দুর রহমানসহ অনেকের সাথেই আলোচনা করেছিলাম। গত 25-7-16 ইং তারিখে তিনজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে একান্ত আলাপ হলো খুব সাদামাটাভাবে ধামরাই বাজারের এক মিষ্টির দোকানে। দোকানটায় চা-সিংগারাও বিক্রি হয়। আমরা সিংগারা ও চা খেতে খেতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করলাম। আর তাদের সাথে স্মৃতি করে রাখলাম ঐ সুন্দর মুহূর্তগুলোর। এ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, ধামরাই থানার বর্তমান কমান্ডার জনাব আব্দুর রহমান (যিনি ধামরাই এর বর্তমান এমপি জনাব এম. এ মালেকের সহপাঠী ছিলেন)। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম ও মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন। আমার সাথে সিংগাইর থানা আওয়ামীলীগের নেতা খ. ম. সবুর ছিল (যে আমার বাল্যবন্ধু)। সেদিন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল আর সেই সাথে চলছিল আমাদের চায়ের আড্ডা। খুব ভাল লাগছিল আমাদের সবার।
আজ আলোচনা করলাম আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুর রহমানের সাথে এবং এ বীর সেনানীর সাথে ছবি তুলে রেখে ইতিহাস হয়ে রইলাম।
ধামরাই এর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনী লেখার ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫